নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গঠিত হয়েছিল অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার জন্য। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে এসব দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার দেয়া এক স্ট্যাটাসে জয় এসব কথা বলেন।
জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের তথাকথিত বড় দুই বিরোধী দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্মই হয়েছে রাতারাতি সরকারি দল হিসেবে। সংবিধান ও সেনাবাহিনীর নিয়ম ভঙ্গ করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভূলুণ্ঠিত করে যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের পিঠ বাঁচাতে। এসব কারণে এ দুটি দল রাজনৈতিক দল হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেনি।’
তরুণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘মূলত অবৈধভাবে দখল করা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। এই দলের ছাত্র সংগঠন খোলার অজুহাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। দেশজুড়ে কমিটি দেয়ার ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের নিয়ে বিশেষ বাহিনী গঠন করে বিএনপি। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সেই ধারা অব্যাহত রাখেন।
‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি আসলে রাজনৈতিক দলের মুখোশ। এই মুখোশ পরে দুর্বৃত্তরা দেশের সম্পদ লুট ও অর্থ পাচার করে বিদেশে। দেশের ভেতরে তারা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটায়।‘
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘বিএনপি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেমন জনসম্পৃক্ততার সম্পর্ক শূন্য, তেমনি এই দলের নেতাদের সঙ্গেও কর্মীদের সম্পর্ক হয় অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে। তারেক রহমানকে চাহিদামতো টাকা না দিলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান না নিজ দলের নেতাকর্মীরাও। তাই সরকারে থাকলে সাধারণ মানুষের ওপর লুটপাট ও নির্যাতন এবং বিরোধী দলে থাকলে বিদেশিদের কাছে নালিশ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে দলটি।’
প্রযুক্তিবিদ জয় তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘বিরোধী দল দাবিকারী বিএনপি নেতাদের জনমুখী বা কল্যাণকামী কোনো রাষ্ট্র-দর্শনও নেই। উল্টো তাদের দলের গঠনতন্ত্রেই উৎসাহিত করা হয়েছে দুর্নীতিকে। দুর্নীতিবাজদের দ্বারা দল পরিচালনার জন্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের ইতিহাস পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে লুটপাট ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র পরিচালনা করাই বিএনপি নেতাদের কাজ।
‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও জনগণের ওপর আস্থা নেই দলটির। এ কারণে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য সহিংসতা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষ হত্যা, পেট্রোল দিয়ে মানুষ ও যানবাহন পোড়ানো, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে সমাজকে অস্থির করে তোলাই এই দলের কাজ। রাজনীতির নামে এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্পতিন সন্তান জয় লিখেছেন, ‘ডিজিটাল যুগে এসে অনলাইনে নিয়মিত গুজব ছড়ানোর মাধ্যমেও মানুষকে ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে এ দলের লোকেরা। ফলে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা এবং সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে কল্যাণমুখী পরামর্শ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না অন্য দলগুলোও। গণমানুষকেন্দ্রিক রাজনীতি না করার কারণে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে জনগণের আস্থা অর্জন করতেও ব্যর্থ বিএনপি। ফলে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র।’