সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / নন্দীগ্রামে ঝড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন এখন মাটিতে নুয়ে পড়েছে

নন্দীগ্রামে ঝড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন এখন মাটিতে নুয়ে পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবহাওয়া নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা সত্যিতে পরিণত হয়েছে। কৃষকের সোনালী ফসলের স্বপ্ন অনেকটা দুঃস্বপ্ন করে দিয়েছে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি। এ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে অল্প পরিসরে পাকা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো ৮/১০ দিন সময় লাগবে। এদিকে বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টারদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার কৃষকদের স্বপ্নের সোনালী ফসল ধান এখন মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

উপজেলার কৃষকরা বলছে, আমাদের কষ্টের সোনালী ফসল ধান এখন মাটিতে নুয়ে পড়ে আছে। এতে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ফলন কমে যেতে পারে। যে ধানগুলো কাঁচতি আছে সে ধানগুলোর আরো ফলন কম হতে পারে বলে ধারনা করছে তারা। এছাড়া অধিক মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া কঠিন হবে এমনটাই মনে করছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার চলতি বোরো মৌসুমে ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় । এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন ধান। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র জানান, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। নিচু জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। অনেক জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়ে রয়েছে। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

নন্দীগ্রাম ইউনিয়নের দলগাছা গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান জানান, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে আমাদের বোরো ধানের খুব ক্ষতি হয়েছে। যেভাবে ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে এতে আর ভালো ফলন আশা করা যায় না। ধান কাটা-মাড়াইয়ের শ্রমিক পাওয়া খুব কঠিন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে এ উপজেলায় ১৩৬ হেক্টর জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি জমিতে পানি থাকলে তা দ্রুত বের করে দিতে। যদি সম্ভব হয় তাহলে দুই-তিনটি ধানের গোছা এক জায়গায় করে বেঁধে রাখতে হবে।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …