নিউজ ডেস্ক:
বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে আগাম সতর্কবার্তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে আগাম তিন মাসে পণ্য আমদানির জন্য কী পরিমাণ এলসি খোলা হচ্ছে, এলসির দায় পরিশোধে কী পরিমাণ ডলার প্রয়োজন হবে তা ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে। ব্যাংকগুলো এ ধারণা অনুযায়ী আগাম পদক্ষেপ নিতে পারবে। একই সাথে ব্যাংকগুলোর এলসির দায় পরিশোধে তাদের কোনো ডলার সঙ্কট হবে কি না বা এ সঙ্কট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো সহায়তা লাগবে কি না তার চাহিদা এক মাস আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। এমন বার্তা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিনই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলারের জন্য আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে ৯ মাস ৭ দিনে (জুলাই-৭ এপ্রিল পর্যন্ত) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে প্রায় ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা। গত ৭ এপ্রিলও তিনটি ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করা হয়েছে ছয় কোটি মার্কিন ডলার, এর আগের দিন বিক্রি করেছিল ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এভাবে প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলারের জন্য হাত পাতছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, তাদের আয়ের একটি অন্যতম খাত হলো এলসি কমিশন। এলসি খুলতে পারলেই এলসি কমিশন বেড়ে যাবে। বাড়বে আয়। এ কারণে অনেক ব্যাংক প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান না করেই এলসি খুলে থাকে। এলসির দায় পরিশোধের সময় দেখা দেয় বিপত্তি। তখন ব্যাংকগুলো ডলারের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকে। এভাবে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়। একজন তহবিল ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের দর বেঁধে না দিলে ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করলে প্রতি ডলার ক্ষেত্র বিশেষ ১০০ টাকায়ও পাওয়া যেত না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অন্তত তিন মাসের আগাম পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবে ব্যাংকগুলো।