নিউজ ডেস্ক:
সোমবার কৃষি সচিব দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ‘ইতিবাচক সিদ্ধান্ত’ আসতে পারে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে দেশের বাজারে তেল, চিনি, আটাসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রেতাদের ব্যস্ততা পেঁয়াজ গোছাতে। ছবি: কাজী সালাহউদ্দিন রাজু
দেশে প্রায় ২৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে বলা হয়, কেবল রোজার মাসে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা চার থেকে সাড়ে চার লাখ টন।
“সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি ব্যতীত বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। নিকট অতীতে পণ্যটির বাজার বেশ কয়েকবার অস্থিতিশীল হয়েছিল।
“বর্তমানে চলতি ২৯ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের আইপি ইস্যু চলমান থাকায় বাজারমূল্য সাম্প্রতিক সময়ে আগের চেয়ে স্থিতিশীল আছে। ২৯ মার্চের পর আইপি ইস্যু না করলে পেঁয়াজের বাজার আকস্মিক অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই আমদানি অনুমতিই (ইমপোর্ট পারমিট) আইপি নামে পরিচিত।
রোজার মাস সামনে রেখে পেঁয়াজের সরবরাহ প্রক্রিয়া স্থিতিশীল রাখার জন্য আগামী ঈদ পর্যন্ত আইপি ইস্যু অব্যাহত রাখতে চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কৃষি সচিব দপ্তরের কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ ধরনের একটি চিঠি পেয়েছি। ২৯ মার্চ পর্যন্ত বর্তমান আইপির মেয়াদ আছে। ওই দিনই আমদানি অব্যাহত রাখার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
বাজারে পেঁয়াজ ওঠার ভরা মৌসুমে দামের ঊর্ধ্বগতি থাকলে কৃষকের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমদানি অব্যাহত থাকলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।
ভরা মৌসুমে কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে খুবই সজাগ আছি, যাতে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা সেই দিকে লক্ষ্য রাখছি। প্রয়োজনে আবার আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সোমবার ঢাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ মিলেছে প্রতি কেজি ২৫ টাকায়।