হাসিবুল হাসান শান্ত, নাটোর:
নাটোরে তাপমাত্রা যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তরমুজের দাম। বর্তমানে এক কেজি চালের দামে এক কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর খুচরা দোকানে প্রতি কেজি চালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই নাটোরে তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। রোজার শুরুতেও বাজারে তরমুজের দাম অস্বাভাবিক। গ্রীষ্মের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে তরমুজই পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা। এরই মধ্যে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট করে নাটোরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। সরবরাহ থাকলেও সংকটের কথা বলে তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছেন তারা। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামছেই না। জানা গেছে, বিক্রেতারা কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত চাষিরা দাম কম পেলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
হোটেলের কারিগর নুর ইসলাম হোসেন বলেন, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে, তাতে কোনরকমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে আছি। ছেলেমেয়েরা খেতে চাইলেও এ রোজগারে এত দামে তরমুজ খাওয়ানো সম্ভব হবে না।
বড় হরিশপুর বাইপাসে তরমুজ কিনতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি চালের দাম ৫০-৫৫ টাকা। আর এক কেজি তরমুজের দামও একই। এত দামের কারণে এ বছর সবার পক্ষে মৌসুমি এ ফল কিনে খাওয়া সম্ভব না।
তরমুজ কিনতে আসা এক শ্রমিক বলেন, এক কেজি চাল কিনতে লাগছে ৫০ টাকা। আর এক কেজি তরমুজও কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা দিয়ে। যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে তরমুজের আড়তদারের সাথে বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ব্যবসায়ী গোমোরের কারণে তারা কোনো কথা বলতে চায় না। আর বাইর থেকে ব্যবসায়ীরা তরমুজ নিয়ে আসেন এবং আড়তে এসে বেচাকেনা করে চলে যায়।
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …