নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
দেশে চাহিদা থাকায় দীর্ঘ এক বছর বন্ধের পর আবারো হিলি স্থলবন্দরে রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত চিটাগুড়ের পরিমাণ ২ হাজার ৭টন যা থেকে রেল কতৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে ৫০টি চিটাগুড় বোঝাই ওয়াগন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। জয়পুরহাটের মেসার্স আনোয়ারুল হক এসব চিটাগুড় আমদানি করছেন।
চিটাগুড় আমদানিকারক আনোয়ারুল হক বলেন, সম্প্রতি লোকসানের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু চিনিকল বন্ধ রয়েছে। এতে করে চিটাগুড়ের উৎপাদন কম হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। দেশের বাজারে চিটাগুড়ের ভালো চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে রেলপথে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছে ।
গেলো বছর একবার রেলপথে আমদানি হয়েছিলো চিটাগুড় তারপর এক বছর বন্ধ ছিলো, আবারো শুরু হয়েছে আমদানি।
তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত এসব চিটাগুড় গবাদিপশু, মুরগি ও মাছের খাদ্য তৈরির বিভিন্ন কারখানায় সরবরাহ করা হচেছ। তবে সড়কপথে পণ্য আমদানিতে বেশ ঝামেলা। হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্টের ভেতরে জায়গা নেই, গাড়ি সময় মতো বেরোতে পারে না। এরকম অনেক ঝামেলা পোহতে হয়। বিপরীতে রেলপথে আমদানিতে তেমন সমস্যা নেই। যার কারণে রেলপথ দিয়ে চিটাগুড় আমদানি করা হচেছ।
হিলি রেলস্টেশন মাস্টার তপন কুমার বলেন, দীর্ঘ এক বছর বন্ধের পর আবারো হিলিতে রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে স্টেশনে ৫০টি ওয়াগনে চিটাগুড় আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত চিটাগুড়ের পরিমাণ ২ হাজার ৭টন যা থেকে রেল কতৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।