নিউজ ডেস্ক:
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে খোলা বাজারে চাল-আটা বিক্রির (ওএমএস) জন্য ট্রাকের (ট্রাকসেল) সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনগুলোতে ওএমএস কার্যক্রমে ট্রাকসেলের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে (ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোশন) বাড়ছে আরও ২০টি ট্রাকসেল। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ট্রাকসেল বাড়ছে চারটি, নারায়ণগঞ্জে চারটি, চট্টগ্রামে সাতটি, বরিশালে তিনটি, রাজশাহীতে চারটি এবং খুলনায় ছয়টি। পাশাপাশি নতুন করে শুরু হচ্ছে রংপুরে পাঁচটি, ময়মনসিংহ, সিলেট ও কুমিল্লায় চারটি করে ট্রাকসেল।
ঢাকা মহানগরীতে আগের ৩০টিসহ নতুন ২০টি ট্রাকের প্রতিটিতে সাড়ে তিন টন চাল এবং ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে প্রতিটি ট্রাকে তিন টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওএমএস কার্যক্রমে এ অতিরিক্ত ট্রাকসেল ও বরাদ্দ বহাল থাকবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় একজন ব্যক্তিকে ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি আটা দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৫৪টি ট্রাকে করে চাল-আটা মিলে ২১৬ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ১৮৯ টন চাল ও ২৭ টন আটা। দেশের ৫৪টি ট্রাকের মধ্যে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় ৩০টি ট্রাকে প্রতিদিন ১২০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগরিতে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৫ মেট্রিক টন আটা।
এছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন চারটি করে ট্রাকে চাল-আটা মিলে মোট ৯৬ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৮৪ মেট্রিক টন চাল এবং ১২ মেট্রিক টন আটা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে দেশে মোট ১১৯ ট্রাকে করে প্রতিদিন ৪৭৬ টন খাদ্যশস্য খোলা বাজারে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে চাল ৪১৬ দশমিক ৫ টন চাল এবং আটা ৫৯ দশমিক ৫ টন।