মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ৩১ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যাংকের

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যাংকের


নিউজ ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পুঁজিবাজারে ধসের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দুই সিদ্ধান্তে পতন থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পর ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে রাজি হয়েছে।

বুধবার বিএসইসির সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এই আশ্বাস দেয়া হয়। ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, যাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের কম বিনিয়োগ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত নতুন বিনিয়োগে যাবে। পুঁজিবাজারের জন্য ব্যাংকের গঠন করা বিশেষ তহবিলে ২০০ কোটি টাকা দিয়ে সেখান থেকেও বিনিয়োগ করা হবে।

বিএসইসি মনে করে, ব্যাংকগুলোর যে বিনিয়োগ সক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ব্যবহার করছে না। আর ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে এলে বাজারে যে তারল্য সংকট রয়েছে, সেটির সমাধান হবে।

এর অংশ হিসেবেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার পর পুঁজিবাজারে যে ধস নামে, সেখান থেকে উত্তরণে টানা দুই দিনে বিএসইসির এটি তৃতীয় উদ্যোগ।

এই যুদ্ধ শুরুর পর আট দিনে বাজারে সূচক পড়ে ৩৮২ পয়েন্ট। নবম দিনে মঙ্গলবার ১ ঘণ্টারও কম সময়ে আরও ১৩৭ পয়েন্ট সূচক পড়ার পর ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি।

বিএসইসি মনে করে, ব্যাংকগুলোর যে বিনিয়োগ সক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ব্যবহার করছে না। আর ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে এলে বাজারে যে তারল্য সংকট রয়েছে, সেটির সমাধান হবে।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়ার খবরে সেদিন তলানি থেকে উঠে এসে দিন শেষ হয় ১৭ পয়েন্ট বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। এই উত্থান এমন কোনো বড় কিছু না হলেও পরিস্থিতির কারণে সেটি বিনিয়োগকারীদের চিড় ধরানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

লেনদেন শেষে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এসে ঘোষণা দেন, এক দিনে কোনো শেয়ারের দর ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই থাকবে ১০ শতাংশ।

বুধবার লেনদেন শুরুই হয় ৫৭ পয়েন্ট যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে। দিন শেষে বাড়ে ১৫৫ পয়েন্ট।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এতে অংশ নেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও মোহাম্মদ রেজাউল করিমও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু অনেক ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির বিনিয়োগ এর চেয়ে অনেক কম।

রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের সভায় তিনটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে, যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ তাদের মূলধনের ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে ২ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবে। এতে করে শেয়ারবাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়বে।

‘ব্যাংকগুলোর জন্য ঘোষিত ২০০ কোটি টাকার ফান্ড এখনও যেসব ব্যাংক গঠন করেনি, তারা তা করবেন বলে আজকের সভায় জানিয়েছেন। এরপর সক্ষমতা অনুযায়ী তারা বিনিয়োগ করবেন। এ ছাড়া যারা ফান্ড গঠন করে এখনও বিনিয়োগ করেননি, তারা বিনিয়োগ করবেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু অনেক ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির বিনিয়োগ এর চেয়ে অনেক কম।

দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা মোট ৬২টি। সবগুলো ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা দিলে তহবিলের আকার হতো ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু সব ব্যাংক এই তহবিলে টাকা দেয়নি, তারা দিলেও ২০০ কোটি টাকার পুরোটা নয়।

আবার ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়ার পর পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দেয়, সে সময় বাজারে তারল্য বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এক উদ্যোগ নেয়।

পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে তাতে প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা জমার সুযোগ দেয়া হয়। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের যে বিনিয়োগসীমা, এই চাঁদা তার বাইরে থাকবে বলেও জানানো হয়।

দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা মোট ৬২টি। সবগুলো ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা দিলে তহবিলের আকার হতো ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু সব ব্যাংক এই তহবিলে টাকা দেয়নি, তারা দিলেও ২০০ কোটি টাকার পুরোটা নয়।

যত টাকা তহবিল গঠন হতে পারত, শেষ পর্যন্ত হয়নি তার অর্ধেকও। আর যে তহবিল গঠন হয়েছে, তার অর্ধেকও বিনিয়োগে যায়নি।

টায়ার ১ ও ২ অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর মূলধন শক্তিশালী করার জন্য পারপিচ্যুয়াল ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের অনুমোদন দ্রুতগতিতে দেয়া হবে বলে জানান বিএসইসির মুখপাত্র।

আরও দেখুন

লালপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা কমিটিরমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা …