নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
কাল পরিক্রমায় বড়ালের তলদেশ পলি মাটিতে ভরাট হয়ে সবুজ ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে। জল সীমানা সরু হয়ে নালার আকার ধারন করেছে। বড়াল চরে শত শত একর কৃষি আবাদযোগ্য জমি পেয়ে কৃষকরা খুশি।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বড়ালের ইতিহাস রূপকথার গল্পে পরিনত হবে।
জানাযায়,পদ্মার শাখা বড়াল। বড়ালের উৎপত্তিস্থল রাজশাহীর চারঘাট। বড়াল পদ্মা থেকে বেরিয়ে আকাঁ-বাঁকা পথে চারঘাট, বাঘা, বাগাতিপাড়া বড়াইগ্রাম পেরিয়ে সিরাজগঞ্জে যমুনায় মিলিত হয়েছে।
কয়েক যুগ আগে ঐতিহ্যবাহী বড়ালের যৌবন ছিল টই-টুম্বরপূর্ণ।বড়ালে বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি প্রবেশ করত। দূ’কূল কানায় কানায় পূর্ণহতো। প্রখর স্রোত ছিল। কোন কোন সময় বন্যার পলিমিশ্রিত পানি দূ’কূল ঝাঁপিয়ে বিভিন্ন মাঠে প্রবেশ করত। পলিমিশ্রিত পানিতে কৃষি আবাদযোগ্য জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পেতো। কৃষকরা দ্বিগুন ফসল ফলাত। বড়াল তীরবর্তি কৃষকরা সারা বছর স্বাচ্ছন্দে সংসার চলতো। নদীতে ছোট-বড় প্রচুর মাছ ছিল। জেলেদের মনে আনন্দ ছিল। তারা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতো। কিশোর -কিশোরীরা মনের আনন্দে নদীতে সাঁতার কাটতো। মালামাল বোঝাই ছোট-বড় পালতোলা নৌকা দূর-দূরান্তে যাতায়াত করতো।বড় ব্যবসায়িরা পালতোলা নৌকাযোগে বিভিন্ন পণ্য বিভিন্ন স্থানে আমদানী-রপ্তানী করত।
কালের আর্বতে ও বড়ালের উৎপত্তিস্থল চারঘাটে স্লুইসগেট নির্মাণের ফলে বড়াল ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। বর্ষা মৌসুমে পদ্মা থেকে বড়ালে বন্যার প্রয়োজনীয় পানি প্রবেশ করে না। শুস্ক মৌসুম থাকে প্রায় পানিশূন্য।
সরেজমিন বাঘা, চারঘাট ও বাগাতিপাড়া ও উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড়ালের চর ঘুরে দেখা যায়, বড়াল নদীর চরে শত শত একর কৃষি আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। সেখানে শোভা পাচ্ছে রসুন, পেঁয়াজ, আলু, মরিচ, বেগুন, ধান, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল। মন মুগ্ধকর সবুজ ফসলের সমাহার। কৃষকদের মূখে আনন্দের হাঁসি।” বাঘা এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, তাঁর পৈত্রিক জমির সাথে সংযুক্ত বড়ালের চরে দূ’একর জমিতে কৃষি আবাদ করেন। এবার এ জমিতে পৃথক পৃথক ভাবে পেঁয়াজ,রসুন, আলু ও গম চাষ করেছেন। এগুলোর বাম্পার ফলন আশা করছেন।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …