নিউজ ডেস্ক:
নারী ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এমনটা বলেছেন ওই দেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রেনে জোনস। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
জীবনের প্রথম পোস্টিং সম্পর্কে রেনে বলেন, ওই সময়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকে মনে করতো নারী চাকরিজীবীদের জন্য ঢাকা ভালো জায়গা নয়। এখন তা চিন্তাও করা যায় না।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে অনেক শিক্ষিত নারীর পরিচয় ছিল যারা আর্কিটেক্ট, ব্যবসায়ী বা আইনজীবী। এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী যা নেদারল্যান্ডস এখনও পায়নি।
সাবেক ওই কূটনীতিক বলেন, আমি আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি বাংলাদেশে। সেটা হলো— যা শোনা যায় সব মেনে নেওয়া ঠিক না। সিদ্ধান্তে আসার আগে নিজে গিয়ে পরিস্থিতি দেখা উচিত।
২০১৫ সালে ঢাকা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি ঢাকা শহরের ব্যাপ্তি দেখে। আমি গুলশানে থাকতাম, এলাকাটাকে চিনতেই পারিনি। ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ও অর্থনীতির কলেবর, দুটোই বেড়েছে।
আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল
১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদকে অবহিত করা হয় যে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, আজকের (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং আমাদের উন্নয়ন পরিক্রমায় পাশে থেকেছে।
দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্ভাবনাকে স্বীকার করার সময় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা ও হেগ কাজ করতে করছে।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ১৫ জন ডাচ পোলট্রি ব্যবসায়ী ঢাকা সফর করবেন। ৭০টিরও বেশি বাংলাদেশি ডিজিটাল কোম্পানি নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ৩০টিরও বেশি ডাচ এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে।
ডেল্টা কোয়ালিশন
ওয়েবিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, দুই দেশ এখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করছে। ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিপ্রেক্ষিতে মেরিটাইম নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার বড় বিষয় এবং এটা নিয়ে ঢাকা ও হেগের স্বার্থ রয়েছে। এমন বিষয়ে কথা বলার সুযোগও রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডেল্টা কোয়ালিশনের সদর দফতর ঢাকায় করার জন্য ঢাকার প্রস্তাবে যেন সদস্য রাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস সমর্থন দেয়।