নিউজ ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অন্তত ৬০ জন বিশিষ্টজনের মতামত নেবে সার্চ কমিটি; যাদের সঙ্গে বৈঠক হবে শনি ও রোববার।
একইসঙ্গে পছন্দের নাম চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠিও দেবে কমিটি।
বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসেন কমিটির ছয় সদস্য।
গত শনিবার সার্চ কমিটি গঠনের পরদিন রোববার প্রথম বৈঠকে দলগুলোর কাছে নাম প্রস্তাব ও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।
দ্বিতীয় বৈঠকে চিঠি দেওয়া এবং যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে মঙ্গলবার সার্চ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি এই কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
তবে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সেসব নাম প্রকাশ করেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সভা শেষে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “দ্বিতীয় মিটিংয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে নিবন্ধিত সব দলকে চিঠি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সশরীরে এসে অথবা অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০ জনের নাম জমা দিতে পারবে।”
পেশাজীবি সংগঠন থেকেও নাম চাওয়া হবে, তারা এসব পদে নাম সুপারিশ করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে, অন্তত ৬০ জন। যদি কমিটির সভাপতি চান আরও কয়েকজন যোগ হতে পারে।
“তাদের সঙ্গে শনিবার ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা, পৌনে ১টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত এবং রোববার বসে সাজেশন নেওয়া হবে। তাদের কাছেও চিঠি দেওয়া হবে।“
সার্চ কমিটি ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ জনের নাম পেয়েছে, যারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মেইলে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাদের নমিনেশন পেয়ে আমরা তালিকা করেও ফেলেছি।”
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে পাস হয়। এ আইনের আলোকে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয় শনিবার।
আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্তের জন্য সার্চ কমিটির জন্য সময় ১৫ দিন। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের খোঁজে আইন অনুযায়ী কাজ করছে।
এবারের সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মঙ্গলবার বৈঠকের পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যে সার্চ কমিটির কাজ সম্ভব হকে কি না- এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমাদের ১৫ কার্যদিবস রয়েছে। কমিশনের থাকা না থাকা নিয়ে কমপালশন রয়েছে কিনা, কালকে লিগাল সাইডটা দেখব। আমার চেক করে দেখব।“
সামনে শুক্র-শনিবার ছুটি রয়েছে, এ দুদিনে অনেক কাজ হয়ে যাবে, উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি ও বিভিন্ন মহলে সার্চ কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “নো কোয়েশ্চেন এবাউট ইট। সার্চ কমিটির সদস্যরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। তাদের নিরপেক্ষতার এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।”