নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর
লালপুরে সপ্তাহেের অধিক সময় দিনরাত গুড়ি গুড়ি ও ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জনজীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচাইতে বেশি বিপাকে পড়ছেন দিনমজুর ও কর্মজীবী মানুষজন।
বৃষ্টির কারণে কাজ না পেয়ে ছেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপদে পড়েছেন। দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষরা বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে না পেরে ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে যেতে আসতেও বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়া একদিকে বৃষ্টি এবং অন্যদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে প্রলম্বিত খরা শেষে স্বস্তির বৃষ্টি হয়। । এরপর বিকেল ও রাতে বৃষ্টি না হলেও সকাল থেকে টানা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। প্রতিদিনই কিছু সময় বিরতি দিয়ে বৃষ্টি হয়। এরপর গত শুক্রবার দিনভর তেমন বৃষ্টি না হলেও দুপুরের পর থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, রোববার রাতে বৃষ্টি না থাকলেও সকাল ৭ টার পরেই চলছে মুশলধারে বৃষ্টি। সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন।
বৃষ্টির কারনে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। প্রতিদিন সকালে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করলেও কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনেকেই কাজ পায়নি।
উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের রফিকুল নামের এক দিনমজুরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা যারা কাজ করে সংসার চালাই তারা বৃষ্টির কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছি। কারণ বৃষ্টিতে ঠিকমত কাজ করতে পারিনি। এ কারণে সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে টানা বসে থাকতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাজ পাচ্ছিনা। এভাবে আরো বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হতে থাকলে পরিবার নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
উপজেলার মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের সবজি চাষি জিল্লুর রহমান বলেন, রোদ না থাকায় টানা বৃষ্টিতে ও পদ্মায় পানিবৃদ্ধিতে মুলা, কলা, বেগুন সহ সব সবজি ডুবে যাচ্ছে।