সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:

বিজয়ের ৫০ বছর পূ্র্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও নিরাপত্তায় জোর দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা পালন করছে। সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। কভিড-১৯ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের অর্থনীতির চাকাকে আমরা সচল রেখেছি। আমরা গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো আমরা পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহারা মানুষ, ভূমিহীন মানুষকে আমরা বিনা-পয়সায় ঘর দিচ্ছি। এ লক্ষ্য ইনশাল্লাহ আমরা পূরণ করতে পারব, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আর আমাদের সেটাই লক্ষ্য।

তিনি আরো বলেন, বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বন্ধুপ্রতীম দেশ, সংস্থা এবং ব্যক্তির প্রতি যারা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে খাদ্য দিয়ে, অর্থ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, মানবিক সাহায্য দিয়ে এবং নৈতিক সমর্থন দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে এক অনন্য মানবিক নজির স্থাপন করেছিল। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, তার সরকার, ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীগণ, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের যুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। সবশেষে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য শহিদ হয়েছিলেন। আমি আজকে তাদের গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। সশস্ত্র বাহিনীর শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এর আগে সেখান থেকেই জাতিকে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনা পর্বে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মাননীয় অতিথির হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সম্মাননীয় অতিথির হাতে তুলে দেন ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা স্মারক।

আরও দেখুন

সভাপতি আব্দুল আলীম,সম্পাদক ফারুক হোসেন

রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,,,,,,জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  নওগাঁর রাণীনগর …