নিউজ ডেস্ক:
এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থাগুলোতে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো যেসব সুবিধা পায়, (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও তা নিশ্চিত রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বৈঠক করছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রতিনিধি দলে আরও একজন রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিউইয়র্কে সরকারী সফরকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ সহিদ; জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সভাপতি কোলেন ভিন্সে কিলাপাইল; স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রসমূহের উচ্চ প্রতিনিধি ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল কোর্টিনে র্যাট্রে এবং জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সচিব রোন্যাল্ড ম্যোলেরাসের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক করেন। বৈঠকগুলোতে কাতারের দোহায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় ৫ম এলডিসি সম্মেলনে গ্রহণের জন্য ‘এলডিসি’র দেশগুলোর পরবর্তী ১০ বছরের ‘কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক ডকুমেন্টটির নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের নেতৃত্বদানের বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি আলোকপাত করেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জাতিসংঘের নতুন উদ্যোগ যেমন ‘সাসটেইন্যাবল গ্র্যাজুয়েশন সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি’ এবং ‘এনহ্যান্সড গ্র্যাজুয়েশন মনিটরিং’ সম্পর্কে অবহিত করেন; যা উত্তরিত দেশগুলোর যে কোন সঙ্কটে বা কাক্সিক্ষত অবস্থান থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ভূমিকা রাখবে।