ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানে এডিবির ১৫ কোটি ডলার ঋণ

নিউজ ডেস্ক:
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানে এডিবির ১৫ কোটি ডলার ঋণবাংলাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ২৭৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা)। দেশের তরুণ, বিদেশ ফেরত কর্মী এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ উদ্যোক্তা বিশেষ করে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) জন্য ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি।
শেরেবাংলা নগরস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে গতকাল ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমং গিনটিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় দুই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইআরডি ও এডিবি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঋণ দেশের ৩০ হাজার সিএমএসই উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহজতর করা এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মহামারির প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করতে এই অর্থায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে মানুষের আয় এবং কৃষি ছাড়া অন্যান্য কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে গেছে। পাশাপাশি গ্রামীণ উদ্যোক্তারাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনার প্রভাবে। এসব জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা হবে।
এডিবির এ অর্থে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার কুটির, মাইক্রো এবং ছোট আকারের উদ্যোগকে সহায়তা করা হবে। যুব, প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিক এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত কুটির, মাইক্রো এবং ছোট আকারের উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশকে এ অর্থায়ন করা হবে। ঋণের এ অর্থে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা হবে।
জানা যায়, প্রকল্পটির আওতায় ২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। নারীদের জন্য ২০ শতাংশ ঋণ নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় ৯০ হাজার মানুষকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
ইআরডি সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, এডিবির ঋণ কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্কট মোকাবেলায় সহায়তা করবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।
আর এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর গিনটিং বলেন, এডিবির এই প্রয়াস নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। একটি ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সিএমএসমইকে অর্থায়ন করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে সঙ্কট মোকাবেলায় সহায়তা করা হবে। এক কথায় করোনা সঙ্কটে পড়া মানুষকে সহায়তা করতেই ঋণ দিচ্ছে এডিবি।