নিউজ ডেস্ক:
মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিল ‘মহাসড়ক বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, ১৯২৫ সালের হাইওয়ে অ্যাক্ট রহিত করে মহাসড়ক, নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবাধ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ যান চলাচলের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করলে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। বিলে বলা হয়েছে, আইনের অধীনে গেজেট দিয়ে সরকার বলে দেবে কোন সড়ক বা মহাসড়কে কে প্রবেশ করবে বা কে প্রবেশ করবে না। কোনটা মহাসড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পরিচালনা কেমন করা হবে। কোনগুলোর টোল নেওয়া হবে। শত বছরের পুরনো আইনকে যুগোপযোগী করতে ‘মহাসড়ক আইন-২০২১’ নামে একটি বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল গত ৪ সেপ্টেম্বর। বিলের ৯ ধারায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া মহাসড়কে যেকোনো অবকাঠামো স্থাপনকে ‘অনুপ্রবেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অপরাধের জন্য বিলের ১৪ ধারায় সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আইনে ক্ষতিকারক উপাদান ছড়িয়ে দেয় এমন মোটরগাড়ি মহাসড়কে চালানোর অপরাধে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহাসড়কে ফসল, খড় বা অনুরূপ উপকরণ শুকানোর জন্য রাখা হলে বা অনির্ধারিত জায়গা দিয়ে চলাচলের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। মহাসড়কে ঝুলন্ত বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ বন্ধের বিধান অমান্য করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, নির্ধারিত মাসুল প্রদানসাপেক্ষে নাগরিক সেবাপ্রদানকারী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিলিটি সংযোগগুলো মহাসড়কের প্রান্তসীমা বরাবর স্থাপন করা যাবে। তবে সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারবে না। করলে তাদেরও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ‘মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯’ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইনের উল্লিখিত শাস্তি প্রদান করবে। বিলে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব থেকে মহাসড়কের সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে মহাসড়ক নেটওয়ার্কের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সহনশীল টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রতিবন্ধী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের চলাচলে মহাসড়কে নির্দিষ্ট স্থান রাখার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে।