নিউজ ডেস্ক:
এ সময় তিনি বলেন, রেলে ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ নতুন কোচের সমন্বয়ে ট্রেন চলছে। আরও প্রায় ৪০০ কোচ আগামী বছরের মধ্যেই রেল বহরে যোগ হবে। রেল বহরে অত্যাধুনিক কোচ ও ইঞ্জিন আসছে। এসব কোচ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ছাড়া পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। আমরা আজ (সোমবার) কমলাপুর ও রাজশাহীতে দুটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছি।
জানা গেছে, ‘স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং প্ল্যান্ট’ স্থাপন হওয়ায় মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০টি যাত্রীবাহী কোচ পরিষ্কার করা যাবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মাত্র একটি গাড়ি (ট্রেন) পরিষ্কার করতে (১০ থেকে ১৪ কোচ) তিন ঘণ্টা লাগত। এখন একটি গাড়ি মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যেই পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে প্ল্যান্ট দুটি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ ও ৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট কেনা হয়। প্রকল্পে ব্যয় হয় ৩৬ কোটি টাকা।