নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
আসন্ন শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় খেজুরের মিষ্টি রস সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষ এই খেজুরের গাছ। গ্রামীণ জীবনের প্রত্যাহিক উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে খেজুরের মিষ্টি রসকে ঘিরে। শীত কাল আসলে বাড়ে অযত্নে ও অবহেলায় বেড়ে উঠা এই খেজুর গাছের কদর। খেজুর গাছ মিষ্টি রস দেয়। আর এই রস থেকে তৈরি হয় ঝুলা ও পাটারী গুড়। যার ঘ্রানে মৌ মৌ হয়ে উঠে পুরো এলাকার বাতাস। পুরো শীত মৌসুমে চলে সু-স্বাদে ভরা বিভিন্ন প্রকারের পিঠা। পায়েস আর পুলি সহ নানান রকমের খাওয়ার আয়োজন।
শীতের সকালে মিষ্টি রদ্রে খেজুরের রস আর মুড়ি খাওয়ার কিজে মজা আর তৃপ্তি আহ্ ? শহর থেকে অনেক গ্রামের নিজ নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসে এই শীত মৌসুমে। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে জামায়, মেয়ে ও নাতনীদের নিয়ে শীত উৎসবকে ঘিরে তৈরি হয় নানান রকমের পিঠার আয়োজন। গ্রামের বাড়িতে জামাই, মেয়ে,নাতী ও নাতনীদের ছাড়া শীত মৌসুমের পিঠা উৎসব জমেইনা। পিঠা তৈরিকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আনান্দ ও উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। আর পুরো শীত মৌসুমে চলে নানান রকমের পিঠা খাওয়ার ধুম। নাতী, নাতনী সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ির ওঠানে শীতের সকালে বসে জমজমাট আসর। খেজুরের রসের ঝুলা গুড় দিয়ে চাউল ও গমের আটার সিদ্ধ করা তৈরি রুটি খেতে কিজে মজা তা বলে বঝানো যাবেনা।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার কৃষি পরিবার আছে। সড়কপথ, রেল লাইনের দুই ধার, জমি আইল, বাড়ীর আঙ্গিনায় ছড়িয়ে আছে প্রায় ৩লাখ ২৫ হাজার খেজুর গাছ। একজন গাছি প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে থাকে। শীত মৌসুম ভিত্তিক প্রায় ৩ হাজার পরিবার খেজুর গাছের উপর নির্ভরশীল। একজন গাছি শীত মৌসুমে ১শ২০ দিনে একটি গাছ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকে। খেজুরের গাছ ফসলের কোন ক্ষতি করেনা। এই গাছের জন্য বাড়তি কোন খরচ করতে হয়না। ঝোপ জঙ্গলে কোন প্রকারের যতন্ন ছাড়াই বড় হয়ে উঠে এই খেজুরের গাছ। শুধু মাত্র শীত মৌসুম আসলেই নিয়মিত পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়। রস ও গুড় ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। খেজুরের গাছ কেটে বাড়ি তৈরির তীর করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। যা কৃষকদের রস ও গুড়ের চাহিদা মিটাবে। এছাড়াও খেজুরের রস ও গুড় বিক্রয় করে কৃষকদের সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা বয়ে আনবে।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …