নিউজ ডেস্ক:
কোভিড মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের তরুণ এবং বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। সুদের হার হবে ২ শতাংশ।
বুধবার এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসিমিন এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে এ সংস্থার প্রতিনিধি মার্সি মিয়াং টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারের ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণ সহায়তা থেকে অর্থায়ন করা হবে।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্ম আয়ের স্বল্প শিক্ষিত যুব শ্রেণি এবং উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, যারা শ্রমিক, তাদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রম বাজারে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে।
আবার দেশের যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, যারা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য কম সুদের ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়তা করা হবে বলেও বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।