নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মরে যাচ্ছে আমন ধানের শীষ। এ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। উপজেলার শিমলা, দলগাছা, নামুইট, বাদলাশন, হাটধুমা, বামনগ্রাম ও দামগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় শতশত বিঘা জমিতে ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। ফলে চলতি আমন মৌসুমে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। কোনো কোনো কৃষক বলছে, মাজরাপোকা ধানের শীষগুলো কেটে দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো কৃষক বলছে এটা এক ধরনের রোগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন ধান। ইতোমধ্যে আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে কৃষকরা। উপজেলার বামনগ্রামের কৃষক তীর্থ সলিল রুদ্র জানান, আমার ৪০ বিঘা আমন ধানের জমির মধ্যে বাঁশমতি ও ব্রিধান-৪৯ জাতের জমিতে শীষ বেশি মরে গেছে। কোনো রোগে শীষগুলো মরেছে না মাজরাপোকা শীষ কেটে দিচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তবে ঔষধ ছিটিয়ে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। দলগাছা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, আমি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। আমার ৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৪৯ রয়েছে। ব্রিধান-৪৯ জাতের জমিগুলোতেই মাজরা পোকার আক্রমণ বেশি। এ ৪ বিঘা জমির অনেক ধান মরে গেছে। ঔষধ ছিটিয়েও কোন লাভ হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, মাজরাপোকার আক্রমণে ধানের শীষগুলো মরে যাচ্ছে। আমরা সবসময় কৃষকদের পার্চিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …