শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / সুরক্ষিত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও রেললাইন

সুরক্ষিত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও রেললাইন

নিউজ ডেস্ক:
বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট ছাড়া কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে ঢুকতে না পারে সে জন্য একসেস কন্ট্রোল সিস্টেম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী—এই তিনটি স্টেশনে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলো এই সিস্টেমের আওতায় আসবে। পাশাপাশি যেসব রেললাইনের ওপর মানুষের বেশি চলাচল সেসব এলাকার দুপাশে ফেন্সিং দিয়ে ঘেরাও করে দেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রেলওয়ের হিসাবে রাজধানীতে অতি ঝুঁকিপূর্ণ নয়টি রেলক্রসিং রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জুরাইন, খিলগাঁও, মগবাজার, মালিবাগ, তেজগাঁও, সায়েদাবাদ, এফডিসি মোড়, বনানী ও কারওয়ান বাজার। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক রেলক্রসিংয়ের পরিবর্তে ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণ, অননুমোদিত রেলক্রসিং বন্ধ করা, প্রয়োজনীয় স্থানে অনুমোদিত ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করা, ভবিষ্যতে রেলের অনুমতি ছাড়া রেলক্রসিং নির্মাণ রোধ করাসহ একাধিকবার নানারকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে ক্রমেই এগুলো মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে।

সম্প্রতি এসব এলাকায় অবস্থিত রেললাইনের দুই পাশে তারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে চাইলেই রেললাইনে যত্রতত্র প্রবেশ করা যাবে না। এরই মধ্যে কারওয়ান বাজান থেকে মালিবাগ রেললাইন পর্যন্ত অংশ তারের ফেন্সিং নির্মাণ করতে দেখা গেছে।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার, এফডিসি ও মগবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে রেললাইনটির দুপাশে লোহার গ্রিল দিয়ে বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। দায়িত্বরত রেলের গেটম্যানরা জানান, মানুষ যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পরে সে জন্য তারের ফেন্সিং নির্মাণ করা হবে। এতে মানুষের অবাধ চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। ফলে দুর্ঘটনা কমবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা রেলের দুর্ঘটনা রোধ ও রেলস্টেশনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছি। চাইলেই যে কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না। কয়েকটি স্টেশনে একসেস কন্ট্রোল করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলোর দুই পাশে সুরক্ষা ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে। ফলে যে কেউ বাহির থেকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে  দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমবে।

তিনি আরও বলেন, রেললাইনের দুই পাশে এমন নিয়ন্ত্রণ আগেও ছিল। এখন আবার নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই রেললাইন সুরক্ষিত থাকুক।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেললাইনের আশপাশের ১০ ফুট পর্যন্ত সব সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তার অর্থ হচ্ছে- ১০ ফুটের আশপাশে ঢোকা নিষেধ। তবে এ নিষেধাজ্ঞা মানছে না কেউ। রেল লাইন ধরেই অমনযোগী হয়ে চলাচলে করে মানুষ। ফলে অনেক সময় ট্রেনে কাটা পড়ে  প্রাণহানি ঘটে।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …