নিউজ ডেস্ক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেজ চট্টগ্রাম ও ২টি ৪০৭ জিএক্স আই হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং আন্তরিকতায় জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক উদ্যোগের কারণে শাহ আমানত বিমানবন্দর চট্টগ্রামে আর্মি এভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেজ নির্মাণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ২টি জিএক্স আই হেলিকপ্টার আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বহরে অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হয়েছে।’ এই মহতী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দীন আহমেদ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে ফরোয়ার্ড বেজ স্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে বিমান সহযোগিতা প্রদান আগের চেয়ে সহজ হবে এবং এতে ব্যয় অনেক কমে আসবে। আধুনিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আর্মি এভিয়েশনে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক হেলিকপ্টার ও সামরিক বিমান। বর্তমানে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে অত্যাধুনিক বিমান ও হেলিকপ্টার সংযুক্তির ধারাবাহিকতায় আজ যুক্ত হলো দুটি অত্যাধুনিক বেল ৪০৭ জিএক্স আই হেলিকপ্টার। যুক্তরাজ্যের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই দুটি হেলিকপ্টার নবীন বৈমানিকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও বিভিন্ন আভিধানিক প্রয়োজন যেমন- বিমান হতে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ এবং স্কাউট হেলিকপ্টার হিসেবেও এই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এই হেলিকপ্টারগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তা, মিশন পরিচালনা ও সীমিত আকারে জরুরি রশদ সরবরাহ করা সম্ভব। অত্যাধুনিক দুটি হেলিকপ্টার আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বহরে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর অভিযানিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে বিমান সহায়তা প্রদান করা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে লালমনিরহাট ও চট্টগ্রামে পৃথক দু’টি এভিয়েশন বেস স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০২০ সালের ৩ মার্চ লালমনিরহাট সেনানিবাসে আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়েছে।