নিউজ ডেস্ক:
জাপানের বিভিন্ন কোম্পানি এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের নতুন গন্তব্য হিসেবে মনে করছে। গত সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এমন মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নতিতে ব্যাংকিং সহায়তা বিষয়ে যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এবং জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো)।\হমঙ্গলবার ইবিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যক্রম আছে- এমন শীর্ষস্থানীয় জাপানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে দেশে জাপানি বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা সম্পর্কে আলোচনা করা ছিল এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
জাপানি রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আমদানি লেনদেন নিষ্পত্তিতে টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের (টিটি) সীমিত ব্যবহারকে বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে টিটি আজকাল একটি অতি প্রচলিত পদ্ধতি। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বাংলাদেশের সংযুক্তির জন্য এ পদ্ধতিকে মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করা প্রয়োজন।\হইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার জাপানকে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অভিহিত করে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে এ দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান ব্যাংকিং চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা দিতে ইস্টার্ন ব্যাংক এগিয়ে এসেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইবিএল জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকিং চাহিদা মেটাতে এবং ওয়ানস্টপ সেবা প্রদানে শিগগিরই জাপান ডেক্স চালু করতে যাচ্ছে।\হজেটরোর কান্ট্রি প্রতিনিধি ইউজি এনদো বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক বিরাজমান, যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কভিড-১৯ অতিমারিকালে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো সাপ্লাই চেইনে বিঘ্নজনিত জটিলতার শিকার হয়েছে। ঝুঁকি হ্রাসের জন্য তারা সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনার কথা ভাবছে।
ইবিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট ব্যাংকিং প্রধান আহমেদ সাহিন জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উপযোগী বিভিন্ন ইবিএল সেবা ও অফার সম্পর্কে জানান এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন।\হবাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হারুতা হিরোকি, ঢাকায় জাপান বাণিজ্য ও শিল্প সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিকারি কাওয়াকি এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি এস এম শরীফুল আলম প্রমুখ সেমিনারে অংশ নেন।