শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / আড়াই লাখ পরিবারকে পুনর্বাসন করবে সরকার

আড়াই লাখ পরিবারকে পুনর্বাসন করবে সরকার

সরকারের নেয়া পুরানো একটি প্রকল্পে সংশোধন এনে নতুন অনুমোদনের মাধ‌্যমে আড়াই লাখ পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অনেক আগে থেকেই বর্তমান সরকার দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করছে। সেই লক্ষ‌্যে ২০১০ সালে আশ্রয়কেন্দ্র- ২ শীর্ষক একটি প্রকল্পর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। এবার দেশের ২ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্পটিতে সংশোধন এনে আবারো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে তৃতীয় সংশোধিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ইউনিট (লীড এজেন্সী)। সংশোধিত এই প্রকল্পটির বর্তমান ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এর আগে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১ হাজার ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা- যার পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে ব্যয় করা হবে। প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বাস্তবায়নকারী সংস্থা জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করতে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠিকে কক্সবাজারের খুরুশকুল মৌজায় পুনর্বাসন করতে হবে। 

এ লক্ষ্যে ১৩৯টি ৫ তলা আবাসিক ভবন ও আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ২য় সংশোধিত ডিপিপি-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কার্যক্রমের মধ্যে ২০টি ভবন আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় করা হবে। বাকি কাজ পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। এমতাবস্থায়, খুরুশকুলের অবশিষ্ট কাজ আলোচ্য প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, পিডব্লিউডি, এলজিইডি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সর্বশেষ রেট শিডিউল এর কারণে প্রকল্পের অবশিষ্ট নির্মাণ কাজের ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর বৃদ্ধির কারণে প্রকল্প পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ৩য় সংশোধিত ডিপিপি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীদের দারিদ্র বিমোচন, উপকারভোগীদের ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা।

এই প্রকল্পটি সমগ্র বাংলাদেশেই বাস্তবায়ন হচ্ছে। যার বাস্তবায়নকাল ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির কার্যক্রমসমূহ হচ্ছে- মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩৯৫০টি পাকা ব্যারাক নির্মাণ, চরাঞ্চলে ৫৪০০টি সিআই শীটের ব্যারাক নির্মাণ, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৫২৭০টি সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ, নিজ জমিতে ৩৭১০টি সেমিপাকা ঘর ও ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৯০ টি সিজিআই শীটের সিঙ্গেল ঘর নির্মাণ, খুরুশকুলে ২০টি ছয়তলা ভবন নির্মাণ, বিভাগীয় সদর/জেলা সদর/উপজেলা সদর/পৌরসভা এলাকায় ৫০টি বহুতল ভবন নির্মাণ, ৯০০টি কমিউনিটি সেন্টার ও ৫৩৯টি ঘাটলা নির্মাণ ইত্যাদি।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …