রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / অবিসংবাদিত নেতা শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অবিসংবাদিত নেতা শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পরিতোষ অধিকারী:

নাটোরের অবিসংবাদিত জননন্দিত নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য, পৌর, চেয়ারম্যান ও জেলা গভর্নর বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর আজ ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জননন্দিত এই নেতার মৃত্যু হয়। নাটোরের গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর‍)২০১৮ এ ভূষিত হওয়ায় নাটোর তথা উত্তরবঙ্গে আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন স্বাধীনতা পদক এতো পরে দেয়া হলো বলে।

কে এই শংকর গোবিন্দ চৌধুরী? নাটোরের মাটি ও মানুষের সন্তান জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী তিনি একাধারে ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এই ক্ষণজন্মার আবির্ভাব ১৯২৬ সালের ৪ মার্চ, নাটোরের ছাতনী গ্রামে। তার বাবা জ্ঞানদা গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নাটোর ভাবনীর জমিদার এবং বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়কার গ্র্যাজুয়েট। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ১৯৪৫ সালে বগুড়ার আদমদীঘি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে উচ্চশিক্ষার্থে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে বিএসসিতে অধ্যয়নকালে ভারত বিভক্তির সময় নানা প্রতিকূল পরিবেশে তার শিক্ষাজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি মহীয়ষী অনিমা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং এরশাদের শাসনামলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাকে এক বছর কারাবরণ করতে হয়। ১৯৬৯ থেকে `৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেশ কয়েকবার নাটোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

একাধিকবার নাটোর সদর থেকে এমপি নির্বাচিত হন। `৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। `৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৭ নম্বর সেক্টরের জোনাল কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। `৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ছাতনী এলাকার অনেক মানুষ শহীদ হন। তাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়াসহ লুটপাটে নিস্বঃ হওয়া পরিবার গুলোকে নিজের সম্পত্তি দান করে প্রতিষ্ঠিত করেন এই মহান নেতা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁকে নাটোরের গভর্নর নিয়োগ করেন। তিনি আমৃত্যু নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে আবারও নাটোর সদর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ ইং তারিখে ইহলোক ত্যাগ করেন । নাটোরে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। নাটোর রানী ভবানী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নাটোরের বনলতা হাইস্কুল, বড়গাছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়সহ নাটোরের ডায়াবেটিক সেন্টার সহ বহু প্রতিষ্ঠান তারই অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে।

আরও দেখুন

জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে- দুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন …