নিস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
হিলি স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, তবে আগের তুলনায় আমদানি কম হচ্ছে। একইসঙ্গে আগের তুলনায় পাইকারিতে কেজিতে তিন টাকা দাম বেড়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হলেও নতুন সাউথের বেলোরি জাতের পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ থেকে ৩১ টাকা কেজি দরে। তবে নাসিক জাতের পেঁয়াজ আগের মতো ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নতুন সাউথের বেলোরি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩১টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, বেশ কয়েকিদন ধরে দাম একই রকম ছিল। যে কারণে আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু আগের দিন বন্দর থেকে যে দামে পেঁয়াজ কিনে মোকামে পাঠিয়েছি, এখন সেই দামে কিনতে পারছি না।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম্মেল হোসেন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আমদানি করে বন্দরে প্রতি কেজি ২৮ টাকার উপরে খরচ পড়তো। কিন্তু চাহিদা কিছুটা কম থাকায় ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে আমদানি করে লোকসান গুনতে হয়। এ অবস্থায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। ফলে দামও কিছুটা বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের চেয়ে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম। আগে বন্দর দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ এলেও, এখন তা কমে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে গত ১৪ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ কর্মদিবসে ৮৮টি ট্রাকে দুই হাজার ৪৮৪টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য, তাই আমদানির সঙ্গে কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।