নিউজ ডেস্ক:
উপজেলা, পৌরসভা ও থানার মতো তৃণমূল সম্মেলনেও লেগে গেছে দীর্ঘ জট। দলটির নেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণে সামাজিক বিধিনিষেধে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল ত্রাণ দেয়ার মধ্যে। তবে শোকের মাসকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৩টির কমিটি এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ। এরমধ্যে ঢাকার ১৫টি, চট্টগ্রামের ৭টি, ময়মনসিংহের ৫টি, রাজশাহীর ৪টি, বরিশালের ৪টি, রংপুরের ৩টি, খুলনার ৪টি এবং সিলেট বিভাগের ১টি। এছাড়া অনেক উপজেলা, থানা ও পৌরসভার সম্মেলন হচ্ছে না বছরের পর বছর।
করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় এবার তৃণমূলে সম্মেলন শুরু করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। করতে চায় কোন্দলের সমাধানও।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতাদের সঙ্গে বসে এই সংকট এবং দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল এখানে এমন ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবেই।
দীর্ঘদিনের সম্মেলন জট কমাতে সাংগঠনিক সফর শুরুর কথা ভাবছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, মহামারী অবস্থায় এই দল যে ভূমিকা রেখেছে তা একটা দৃষ্টান্ত। এটাও কিন্তু দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমেরই অংশ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য কর্নেল (অব:) ফারুক খান বলেন, সম্মেলনে জট লাগবে না বলে আমি মনে করি কারণ ইতিমধ্যেই দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আটটি টিম করে দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির আরেকটু উন্নতি হলে আমরা একসাথে কাজ করা শুরু করলে খুব দ্রুততার সহিত সম্মেলনগুলো করতে পারবো বলে আমি মনে করি।
তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই যেকোন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান তারা।