নিউজ ডেস্ক:
বন্ধ থাকা সরকারি পাটকলগুলো খুলে দিতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা খুঁজছে সরকার। সৌদি আরবের উদ্যোক্তারা এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। গতকাল বুধবার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাআলান। সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সৌদি দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সৌদি আরবে স্থানীয়দের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বেড়েছে। সেখানে পাটপণ্যের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণে। এ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের পাটকলে বিনিয়োগ
করে উৎপাদিত পাটপণ্য সৌদি আরবে নিয়ে যেতে চান সেখানকার উদ্যোক্তারা। আর সব অবকাঠামো প্রস্তুত থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে দ্রুততম সময়ে উৎপাদন শুরু করার সুযোগও রয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সেরা মানের পাট এখনও বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয়। এ দেশের পাটে আকর্ষণীয় ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। পৃথিবীর বহু দেশে এসব পাটপণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এ তালিকায় সৌদি আরবও রয়েছে। মন্ত্রী আশা করেন, আগামীতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণে পাটপণ্য নেবে সৌদি আরব। এ ক্ষেত্রে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা সরকারি পাটকলে বিনিয়োগের বড় সুযোগও রয়েছে। এ বিনিয়োগ হলে দুই দেশই লাভবান হবে।
ক্রমাগত লোকসানের মুখে গত বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫ পাটকলের সবগুলোই বন্ধ করে দেয় সরকার। বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে থাকা এই পাটকলগুলোকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আবারও উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে উদ্যোক্তা খোঁজা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।