নিউজ ডেস্ক:
দেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ বিপজ্জনক ইন্টারনেট গেম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন-বিটিআরসি। ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক-লাইকির মতো অন্যান্য ক্ষতিকর অ্যাপও বন্ধে কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।
এদিকে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে (ডট) এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য ‘ক্ষতিকর’ অ্যাপগুলোও বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক এসব গেম ও অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপের কারণে তরুণ প্রজন্মের ‘বিরূপ প্রভাব’ পড়ছে। এমন বক্তব্য তুলে ধরে গত ১৯ জুন সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী।
কিন্তু উকিল নোটিশে সাড়া না পেয়ে গত ২৪ জুন উচ্চ আদালতে রিট করেন এই আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অগাস্ট দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘বিপজ্জনক’ সব গেম ও টিকটক-লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এসব অনলাইন গেম ও টিকটক, লাইকির মতো ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ কেন বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়।
রিটকারী আইনজীবীদের ভাষ্য, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব গেম যেন যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো ইন্টারনেট গেইমের লিংক বন্ধে কাজ শুরু করে বিটিআরসি। এ দুটি অনলাইন গেম ছাড়াও টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মতো অ্যাপগুলো সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে বলেও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অনেকে। তাই ক্ষতিকর সকল গেমিং অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, আগে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বন্ধ করতে হলে ইন্টারনেট গেটওয়ে, ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দিতে হতো। এখন ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম নিজেই এ কাজ করতে পারে।
তবে বাংলাদেশের কোনো অ্যাপের লিংক বন্ধ করা হলেই তা বন্ধ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে ভিপিএন দিয়ে সেগুলো চালানো যায়, তা বন্ধ করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তাই অ্যাপগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও বাংলাদেশে সেগুলো বন্ধের অনুরোধ জানানো হবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে।