নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গেরই চিকিৎসা প্রয়োজন। জরাজীর্ণ এই মর্গেই করা হয় মরদেহের ময়না তদন্ত। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে করতে হয় মরদেহের ব্যবচ্ছেদ। সংস্কার নেই নির্মাণের পর থেকেই। ছোট্ট একটা ঘরেই দীর্ঘদিন ধরে সনাতন যন্ত্রপাতি দিয়েই চলছে এর কাজ। নজর দেয়ার কেউ নেই।
১০০ শয্যা বিশিষ্ট নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালটির বর্তমান অবকাঠামো তৈরি হয় ১৯৯৫ সালে। সেই সময়ে শহরের পিটিআই এলাকা থেকে মর্গটি স্থানান্তর করে নিয়ে আসা হয় এই হাসপাতাল এর পাশে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সংলগ্ন স্থানে। মর্গের ঘরটির অবস্থা খুবই নাজুক। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। বাইরে থেকে মরদেহ আইসোলোশন ওয়ার্ডের ভেতর দিয়েই মর্গের ভেতরে আনা হয়। মরদেহ কাটার জন্যে নেই কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি। আলাদা কোন ডাক্তার নেই। যে যখন দায়িত্বে থাকেন তিনিই তখন ময়না তদন্ত করেন। দা-চাকু দিয়ে মরদেহ ব্যবচ্ছেদ করা হয়। রাতে নিয়ে আসা কোন মরদেহ সংরক্ষণের জন্যে নেই কোন ফ্রিজ। বাইরে রেখে দেয়ায় পচে আরও গন্ধ বের হয়।
এতে পাশের আইসোলেশন ওয়ার্ডের রোগী এবং তার এ্যাটেনডেন্টরা টিকতে পারেননা। আসেপাশের বাসিন্দারা পড়ে যান সংকটে। প্রশিক্ষণ বিহীন একজন মাত্র ডোম থাকায় সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। একাধিক মরদেহ আসলে একজনের পক্ষে সেটা সুষ্ঠুভাবে কাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে মরদেহ বহনকারী ব্যক্তিই মরদেহ কাটেন এবং সেলাই করেন। কোন মহিলা ডোম না থাকায় মহিলার মরদেহ কাটতে বিব্রত বোধ করেন আত্মীয় স্বজনরা।
প্রশিক্ষিত ডাক্তার দ্বারা ময়না তদন্ত করলে গুরুত্বপূর্ণ মামলার মোড় হয়তো ঘুরে যেতে পারে। নানা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান নারদ বার্তাকে জানান, নতুন ভবনে হাসপাতাল স্থানান্তর হলে সমস্যা অনেকাংশেই মিটে যাবে।
দ্রুত আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন হবে এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সুষ্ঠুভাবে ময়না তদন্ত হবে এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।