নিউজ ডেস্ক:
ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী পরশু দিন শুক্রবার থেকে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশকে ভারতের ৩১টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। একই অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারতে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। সংকট কেটে গেলেই ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বা এয়ার বাবলের মাধ্যমে বিমান চলাচল শুরু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করার পর তারা ফ্লাইট চালু করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে চারটির মতো ফ্লাইট চলতে পারে। চিকিৎসাসহ শুধু জরুরি প্রয়োজন রয়েছে এমন ব্যক্তিরা চলাচলের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে স্থল সীমান্ত দিয়ে বর্তমানে যেভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশিরা ফিরছেন ফ্লাইটে ফেরার ক্ষেত্রে ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
দিল্লির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে দেশটিকে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে গত ১১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে প্রস্তাব ছিল ঢাকার। বেবিচক সূত্র বলছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার শর্ত ও ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ অনুযায়ী ভারতে ফ্লাইট চালাতে পারবে। অন্যদিকে ভিস্তারা, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো বা এয়ার ইন্ডিয়ার মতো ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলো বিশেষ ফ্লাইট চালাতে পারবে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত ১৪ এপ্রিল বন্ধ করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১ মে ১২টি দেশ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আকাশপথ খুলে দেয়া হয়। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ। বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন হলেও ভারতের সঙ্গে আকাশপথ বন্ধই ছিল। সর্বশেষ গত ৫ জুলাই থেকে ভারতসহ আট দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সার্কুলার দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ভারত থেকে শিগগিরই টিকা পাবে বাংলাদেশ : ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানিয়েছেন, সেরাম থেকে শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ভারতের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। ভারত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেরাম থেকে যে টিকা দেয়ার কথা, আশা করছি শিগগিরই সেটি দেয়া শুরু হবে। বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাইরে টিকা সরবরাহ বন্ধ করা হয়। আমাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ভারতের কাছে বাংলাদেশ প্রধান অগ্রাধিকার।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন, ভারত খুব দ্রুতই প্রতিশ্রæত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। বাংলাদেশে ভারতের বায়োটেকের টিকার ট্রায়াল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে আবেদন করা হয়েছে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …