রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / লালপুরের চাঞ্চল্যকর সুলতান হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

লালপুরের চাঞ্চল্যকর সুলতান হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
নাটোরের লালপুরের চাঞ্চল্যকর সুলতান হত্যা মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে লালপুর থানাধীন ওয়ালিয়া ফাঁড়ী পুলিশ। গতকাল (০৪ আগষ্ট) বুধবার লালপুর থানার হত্যা মামলা নং ১৯(১)২১ এর তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন তালাশ এর নেতৃত্বে প্রধান তিন আসামিকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা লালপুর থানাধীন গোধড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী শাহ’র ছেলে আলম(৪৬), দিয়াড়পাড়া গ্রামের মৃত মুনসেব আলীর ছেলে হাসমত আলী ও অপর জন গোধড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আ: লতিফ।

পুলিশ পরিদর্শক ফারুক হোসেন তালাশ জানান, গত ১২ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে লালপুর থানাধীন কদমচিলান ইউনিয়নের চৌষুডাঙ্গা গ্রামের গমের ক্ষেতে একটি অজ্ঞাত মরদেহ পড়ে আছে মর্মে জানতে পারি। তাৎক্ষণিকভাবে নাটোর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার, বড়াইগ্রাম সার্কেল এসপি, ওয়ালিয়া পুলিশ ফাড়ি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষনিক মরদেহটি শনাক্ত করতে না পারলে মরদেহের পকেটে থাকা একটি মোবাইল উদ্ধার করে মোবাইল নম্বরের এনআইডি তথ্য যাচাই পূর্বক মৃত ব্যক্তির নাম সুলতান পিতা-মৃত আলাউদ্দিন, গ্রাম- মাড়িয়া, থানা বাগাতিপাড়া, নাটোর বলে জানা যায়।

পুলিশ মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে উক্ত মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে এবং তদন্ত অনুসন্ধান করে জড়িত আসামি সানোয়ারকে গ্রেফতার করার জন্য তার পিছু নিয়ে পঞ্চগড়, নীলফামারী এবং সৈয়দপুর অভিযান শেষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে আব্দুলপুর রেল স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সানোয়ার বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দিতে প্রাপ্ত আসামী আলম শাহ, হাসমত ও অজ্ঞাত একজন জড়িত আছে বলে জানা যায়। সানোয়ারের জবানবন্দির ভিত্তিতে পরবর্তীতে আলম ও হাসমতকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরকান্দা থানা ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াতে অভিযান পরিচালনা করার এক পর্যায়ে গতকাল বিকালে বনপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি আলম ও হাসমতের দেয়া তথ্য মতে অপর আসামি লতিফকে গোধড়া বাজার এলাকায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, মূল আসামী সানোয়ার মৃত সুলতান এর কাছে ধারের দুই হাজার টাকা পেত। সে টাকা উদ্ধার করার জন্য সুলতানকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। ৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …