নিউজ ডেস্ক: মিষ্টি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের মাজগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আলমগীর হোসেন বাবলুকে (৪৫) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
জানা যায়, আলমগীর হোসেন বাবলু জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির আবদুর রহিমের একান্ত সহচর। ধর্ষক বাবলু নিজেও নাশকতা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। বাবলু মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার দপ্তরি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বাবলুর বাড়ির পাশ দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। এ সময় বাবলু তাকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে বাড়ির ভেতর ডেকে নিয়ে যায়। এরপর শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বাড়িতেই আটকে রাখে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা জানার পর বাবলুকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে বাবলুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর থানায় ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে আলমগীর হোসেন বাবলু।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিশু ধর্ষণকারী জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।