নিউজ ডেস্ক:
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আসছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা। এজন্য ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে পানি সম্পদ, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারী নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩২ কোটি ৫৫ লাখ এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তা থেকে ৮৫০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পানি সম্পদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১৯ নবেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পর এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর হতে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং মৎস্য অধিদফতর।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। তারা কৃষিকাজ ও মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের নিম্নাঞ্চলে প্রবল বন্যা হয়। নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে যায় ও নদী ভাঙ্গন দেখা যায়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে দেশের উত্তরাঞ্চলে খরা দেখা যায়। উভয় ক্ষেত্রেই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় ও কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায়। ফলে কৃষি নির্ভরশীল মানুষের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়ে। কার্যকর পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যা, নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। পানি ব্যবস্থাপনার কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাপাউবো সারাদেশে প্রায় ৮২৫টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন (এফসিডি) এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) প্রকল্প উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।