বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / করোনা রোধে যুগান্তকারী স্প্রে আবিস্কার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর

করোনা রোধে যুগান্তকারী স্প্রে আবিস্কার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর

নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী একটি জীবাণুনাশক উদ্ভাবন করেছেন। কভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটিকে যুগান্তকারী উদ্ভাবন হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

ম্যানচেস্টার ইভনিংনিউজ জানায়, ১৪ মাসের গবেষণা শেষে সাদিয়া খানম (২৬) ‘ভল্টিক’ নামের একটি স্প্রে উদ্ভাবন করেন, যা সব ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও অন্যান্য অণুজীব শতভাগ ধ্বংস করতে সক্ষম। একবার স্প্রে করার পর ১৪ দিন এর কার্যকারিতা থাকে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস) ও যুক্তরাষ্ট্রের নাসাসহ বেশ কিছু খ্যাতনামা সংস্থা ভল্টিকের পরীক্ষা করে এর সফলতা পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি কোম্পানি এটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো বলছে, বিভিন্ন স্থাপনায় ভল্টিক স্প্রে করলে করোনাভাইরাসের জীবাণু ১০০ শতাংশই নির্মূল হয়। এতে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করার খরচও ৭০ শতাংশ সাশ্রয় হয়। বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে সাদিয়া ইতোমধ্যে এক কোটি পাউন্ড বা ১১৬ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পেয়েছেন।

এই স্প্রেটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমান, পরমাণু কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োগ করা যায়।

সাদিয়া খানম বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। তার দাদা আলজেইমারে মারা গেলে রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাপারে তার আগ্রহ চরমে পৌঁছায়। তিনি করোনাভাইরাস ও জীবাণুনাশক নিয়ে ব্যাপক অধ্যয়ন ও গবেষণা করেছেন। কয়েক মাসের গবেষণা শেষে তিনি ভল্টিক উদ্ভাবনে সক্ষম হন।

সাদিয়া যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করলেও শেষে জেনেটিপ নিয়ে চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আলজেইমার বিষয়ে তিনি পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তার বাবা কবির আহমেদ হোটেল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। ১৯৬৪ সালে কবিরের বাবা যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। কবির বলেন, ‘এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে, আমার মেয়ের আবিস্কারের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে আমরা সাহায্য করতে পারছি।’

আরও দেখুন

সিংড়ায় আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষের

নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়ায় ,,,,,,,,,,,কম খরচে বেশি আয়ের আশায় পতিত জমিতে আদা চাষ শুরু করেছেন নাটোরের …