বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ২৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ব্যাংকের সার্ভিস চার্জের লাগাম টানল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংকের সার্ভিস চার্জের লাগাম টানল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক:
ব্যাংক হিসাব খুলতে গেলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো টাকা জমা রাখে। কোন কোন ব্যাংক গ্রাহককে ? হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে বাধ্য করে। এবার এ সীমা উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখন থেকে গ্রাহকরা ৫০০ টাকা দিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব এবং চলতি হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা জমা করে নিজ নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম জমার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। পাশাপাশি ব্যাংকের আমানত-ঋণে রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠিয়েছে।

হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি ॥ সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে কোন এ্যাকাউন্টস মেইনটেন্যান্স ফি নেই। যদি কোন সঞ্চয়ী হিসাবে গড় আমানত ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে হয় তাহলে ওই হিসাবধারীর কাছ থেকে ব্যাংক ষান্মাসিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ফি নিতে পারে। যদি গড় আমানত স্থিতি ২৫ হাজার টাকার বেশি, কিন্তু দুই লাখ টাকার কম হয়, তাহলে এ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি ছিল ছয় মাসে ২০০ টাকা। দুই লাখ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত হিসাবের ক্ষেত্রে এই ফি ছিল ৬ মাসে ২৫০ টাকা। ১০ লাখ টাকার বেশি গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফি ছিল ছয় মাসে ৩০০ টাকা। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে এক নির্দেশে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানতবিশিষ্ট সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে বছরে একবার ২৫০ টাকা এ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি দিতে হবে বলে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেটা ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর। কিন্তু নতুন নির্দেশনায় ১০ লাখ টাকার বেশি গড় আমানত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ফি ছিল ছয় মাসে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি হিসাবে প্রতি ষান্মাসিকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ও স্পেশাল নোটিম ডিপোজিট হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবে কোন প্রকার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় করা যাবে না।

অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তর ॥ একই ব্যাংকের অন্য শাখায় হিসাব স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একই জেলায় সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং অন্য জেলায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে অক্টিভেশন অফ ডরমেন্ট হিসাব বাবদ কোন ফি আদায় করা যাবে না।

মেয়াদপূর্ব নগদায়ন ফি ॥ বিভিন্ন মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) বা এফডিআর বা অন্য কোন মেয়াদী আমানত মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে নগদায়ন ফি বা অনুরূপ ফি আরোপ করা যাবে না।

হিসাব বন্ধকরণ ফি ॥ হিসাব বন্ধকরণ চার্জ হিসেবে সঞ্চয়ী হিসাবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, চলতি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং এসএনডি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করা যাবে। তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবগুলো হিসাব বন্ধকরণ বাবদ কোন ফি আদায় করা যাবে না।

চেক বই ইস্যু ॥ বিভিন্ন ধরনের হিসাবের বিপরীতে চেক বই ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রকৃত খরচের ভিত্তিতে চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। চেক বই হারানোর ক্ষেত্রে নতুন চেক বই ইস্যু বাবদ প্রকৃত খরচ ছাড়া অতিরিক্ত চার্জ/প্রসেসিং ফি আদায় করা যাবে না।

অন্যান্য ফি ॥ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবে আরোপিত ন্যূনতম ব্যালেন্স ফি, ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে না। ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব’ বলতে কৃষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন শ্রমিক, পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুকিশোর, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর সুবিধাভোগী, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ক্ষুদ্র কারখানার কারিগর এবং স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারীদের ব্যাংকসহ সব ধরনের হিসাব ১০, ৫০ ও ১০০ টাকায় খুলতে বলা হয়েছে।

ঋণ প্রদান ॥ ঋণ প্রসেসিং ফি হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে মোট মঞ্জুরিকৃত ঋণের সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ আদায় করা যাবে, তবে এর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার বেশি হবে না। ৫০ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণের ক্ষেত্রে এ হার হবে সর্বোচ্চ দশমিক ৩০ শতাংশ, তবে এর পরিমাণ ২০ হাজার টাকার বেশি হবে না। ঋণ আবেদন ফি নামে কোন ফি আদায় করা যাবে না। কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষি খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ/ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রসেসিং/ পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠন ফি নামে কোন ফি/চার্জ/ কমিশন আদায় করা যাবে না। তবে সিএমএসএমই ও কৃষি খাত ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠন ফি বাবদ সর্বোচ্চ দশমিক ২৫ শতাংশ আদায় করা যাবে, তবে এর পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ডকুমেন্টেশন ফি, সিআইবি চার্জ, স্ট্যাম্প চার্জ এবং আইনী ও জামানত মূল্যায়ন ফি প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। রফতানি ঋণসহ যে কোন ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদ/মুনাফা হারের অতিরিক্ত কোন সার্ভিস চার্জ, ঋণ ব্যবস্থাপনা ফি, মনিটরিং/ সুপারভিশন চার্জ, ঝুঁকি প্রিমিয়াম বা অনুরূপ অন্য যে কোন নামে অতিরিক্ত কোন চার্জ/ ফি/কমিশন আরোপ/আদায় করা যাবে না। গ্রাহক কর্তৃক গৃহীত ঋণ নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে পরিশোধের ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণের সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে। তবে কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতে প্রদত্ত ঋণ এবং চলতি ঋণ বা ডিমান্ড লোনের ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির পূর্বে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ফি আদায় করা যাবে না।

স্থানীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য/ রেমিটেন্স ॥ শতভাগ নগদ মার্জিনে এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ২৫ শতাংশ, ডেফার্ড/ইউজান্স এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাইট ও ব্যাক টু ব্যাকসহ অন্যান্য এলসি খোলার কমিশন প্রতি ত্রৈমাসিকে দশমিক ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে। এলসি ট্রান্সমিশন, এ্যামেন্ডমেন্ট, কনফারমেশন, ক্যানসেলেশন, ফরেন করেসপন্ডেন্ট চার্জের ক্ষেত্রে মেইলিং, কুরিয়ার, টেলেক্স, সুইফট ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে চার্জ নির্ধারণ করা যাবে। এলসি এডভাইসিং, এ্যামেন্ডমেন্ট ও ট্রান্সফার চার্জ বাবদ ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা যাবে। এলসি এ্যাকসেপটেন্স চার্জ প্রতি ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং এলসি কনফারমেশন চার্জ প্রতি ত্রৈমাসিকে দশমিক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা যাবে। ফরেন করেসপন্ডেন্ট চার্জ (স্থানীয় অংশ), ডাটা ম্যাক্স, হ্যান্ডেলিং চার্জ, কপি ডকুমেন্ট এনডোর্সমেন্ট চার্জ, এলসি বাতিল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ অব্যবহৃত এলসি চার্জ আদায় করা যাবে না। রফতানি বিল নেগোসিয়েশন কমিশন ও রফতানি বিল কালেকশন কমিশন সর্বোচ্চ দশমিক ১৫ শতাংশ নির্ধারিত হবে। তবে রফতানি বিল নেগোসিয়েশন ও কালেকশনের ক্ষেত্রে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ গেইন হয় সেক্ষেত্রে কমিশন বাবদ ৫০০ টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। ব্যাক টু ব্যাক এলসি সার্টিফিকেট ইস্যু, সিএন্ডএফ সার্টিফিকেট ইস্যু, রফতানি মূল্য আদায়ের সার্টিফিকেট ইস্যুর চার্জ ৫০০ টাকার অধিক আদায় করা যাবে না। ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশন বাবদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ন্যূনতম ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা যাবে। এলসি খোলা/ এ্যাকসেপটেন্স/ কনফারমেশন/ ব্যাংক গ্যারান্টি এক ত্রৈমাসিক বা এর চেয়ে কম সময়ের জন্য হলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় সর্বোচ্চ এক ত্রৈমাসিকের সমপরিমাণ চার্জ/ কমিশন আদায় করতে পারবে। তবে মেয়াদ যদি এক ত্রৈমাসিকের চেয়ে বেশি সময়ের জন্য হয় সেক্ষেত্রে যে তারিখে মেয়াদ পূর্ণ হবে শুধুমাত্র ওই নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত সময়কালের জন্য চার্জ/কমিশন আদায় করা যাবে। বৈদেশিক মুদ্রায় ডিমান্ড ড্রাফট (উউ), টেলিগ্রাফিক, মেইল ট্রান্সফার প্রভৃতি ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনধিক এক লাখ টাকা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, এক লাখ হতে অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, ৫ লাখ ১ টাকা হতে অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার অধিক সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। ইন্সট্রুমেন্টসমূহ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে।

হিসাব সংক্রান্ত ও অন্যান্য ॥ স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ ফি ষান্মাসিক ও বাৎসরিক ভিত্তিতে অর্থাৎ বছরে ২ বার ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবধারী প্রত্যেক গ্রাহককে হিসাবের স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ (হিসাব বিবরণীসহ) প্রদানের জন্য কোন চার্জ/ফি আদায় করা যাবে না। তবে গ্রাহককে বছরে ২ বারের বেশি এ সনদ গ্রহণ করতে হলে সে ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। সচ্ছলতা সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। চেক ফেরতের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ আদায় করা যাবে। বিও হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বিও সনদ প্রদানের চার্জ সর্বোচ্চ ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। গ্রাহক কর্তৃক হিসাব/চেকে প্রদত্ত অর্থ প্রদান নির্দেশনা স্থগিতকরণ চার্জ প্রতিবার অনুরোধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং অর্থ প্রদান নির্দেশনা স্থগিতকরণ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার অনুরোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা আদায় করা যাবে। পে-অর্ডার ইস্যুর ক্ষেত্রে অনধিক ১ হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ টাকা, ১,০০১ হতে অনধিক ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ টাকা এবং ১ লাখ টাকার অধিক পরিমাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। পে-অর্ডার বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। ডিমান্ড ড্রাফট, টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার, মেইল ট্রান্সফার ইন্সন্ট্রুমেন্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনধিক ১ হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ টাকা, ১,০০১ হতে অনধিক ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, ১,০০,০০১ হতে অনধিক ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, ৫,০০,০০১ হতে অনধিক ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকার অধিক পরিমাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। ইন্সট্রুমেন্টসমূহ বাতিলের ক্ষেত্রে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ/ফি আদায় করা যাবে। সিডিউল অব চার্জেসের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত পূর্ণ তালিকা স্ব স্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দর্শনীয় স্থানে/নোটিস বোর্ডে এবং ব্যাংকের ওয়েবসাইটের হোম পেজ এ দিতে হবে। ঘোষিত/প্রকাশিত তালিকাবহির্ভূত কোন চার্জ/ফি/কমিশন আরোপ করা যাবে না। প্রতি বছর ৩০ জুন ও ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে (ষান্মাসিক ভিত্তিতে) পরবর্তী ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-জুন) ঘোষিত চার্জ/ফি/কমিশনের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করতে হবে। চার্জ/ফি/কমিশনের কোনো পরিবর্তন হলে আবশ্যিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগকে জানাতে হবে।

আরও দেখুন

নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,,,,বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫ টি ক্যাডারের (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার বাদে) সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য …