নিউজ ডেস্ক:
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) পরিচালনাধীন ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
আমাদের খুলনা অফিস জানায়, খুমেকে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এটি স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ৯৭ লাখ টাকা। অক্সিজেন প্ল্যান্টটি স্থাপনে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে।
করোনা হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। মাস তিনেক আগে প্ল্যান্টটি স্থাপনের জন্য এইচইডি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিয়ে ৯৭ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব অনুমোদন হলে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়। অক্সিজেন প্ল্যান্টটি চালু হলে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা কম খরচে এবং সহজে অক্সিজেন সুবিধা পাবেন। এ ব্যাপারে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গত ৩-৪ দিন আগে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অক্সিজেন প্ল্যান্টটি স্থাপনে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফেনী প্রতিনিধি জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। এখন থেকে অক্সিজেনের জন্য এখানকার মানুষকে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম ছুটতে হবে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১২ হাজার লিটারের এই ট্যাংকটি স্থাপনের কাজ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে সিলিন্ডারের অক্সিজেনের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় গত এপ্রিল মাস থেকে ইউনিসেফের অর্থায়নে লিকুইড অক্সিজেনের এ ট্যাংকটির স্থাপন কাজ শুরু হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ৪০-৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন লাগে। সঠিক সময়ে এ অক্সিজেন দেওয়া গেলে অনেক রোগীর জীবন রক্ষা পাবে। এ ট্যাংক স্থাপনের ফলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দূর হবে। পর্যায়ক্রমে ১০ শয্যার আইসিইউও চালু করা যাবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, চলতি মাসের মধ্যেই এ অক্সিজেন ট্যাংকের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপরই অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হবে।