নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া পৌরসভা ও নাটোর সদরে করোনা রোগীর সনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয় এই দুটি পৌর এলাকায়। সিংড়া উপজেলা সদরে লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ছিল ঢিলে ঢালা ও কঠোর এই দুই অবস্থানেরই চিত্র। জরুরী ও নিত্যপণ্যের দোকান ব্যতীত বন্ধ ছিল সব দোকান পাট ও চায়ের ষ্টল। পুলিশের টহল ছিল জোড়ালো।
বগুড়া ও নাটোর মহাসড়কে যাত্রী বাহী কোন বাস সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে নামতে দেওয়া হয়নি। ফলে সিংড়া পৌরসভার শেষ সীমানা দমদমা জলার বাতায় বগুড়া গামী ও বালুভরায় নাটোর গামী সিংড়ার যাত্রীরা উঠা নামা করেছেন। পৌরশহরের মধ্যে রিক্স্রা,ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকলেও উপজেলার সাবরেজিষ্টার অফিস খোলা ছিল। সেখানে সকল কার্যক্রম চলেছে রীতিমত। সরকারী সকল অফিসই ছিল খোলা। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সিংড়ার সর্ব বৃহৎ সাপ্তাহিক বৃহষ্পতিবারের হাট ছিল বন্ধ। সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ও চলমান লকডাউনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এখানকার আম ব্যবসায়ীকরা। পৌরশহরের কয়েকজন আম ব্যবসায়ীকরা জানান,আমরা অনেক টাকার আম কিনে রেখেছি। অধিকাংশ আম পেকে যাওয়ায় আর ঘরে রাখতে পারছিনা। এখন বাধ্য হয়ে কেনা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে পরিচিত ক্রেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আম পৌছে দিচ্ছি, পরে দাম নিয়ে নেব এই আশায়।
এদিকে সিংড়া পৌরসভার বৃহষ্পতিবার সাপ্তাহিক হাটে ডিমের বাজার বসতে না পাড়ায় উপজেলার শহরবাড়ি ও কয়রাবাড়ির পেট্রো বাংলা পয়েন্ট এলাকায় বসে ছিল ডিমের বাজার। তবে পৌরশহর এলাকায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী ছিল কঠোর। সাধারন মানুষকে সন্ধার পর বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে জটলা করতে দেয় নাই পুলিশ। এছাড়া লকডাউনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় দুটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০জনকে জরিমানা করেছেন উপজেলা র্নিবাহী অফিসার এস এম সামিরুল ইসলাম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) রকিবুল হাসান। সিংড়া পৌরসভার প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের লকডাউনের চিত্র ছিল একদিকে যেমন কঠোর অন্যদিকে ছিল ঢিলে ঢালা।
আরও দেখুন
বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …