শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ২০৪ কোটি টাকায় সাড়ে ৪২ হাজার সোলার সিস্টেম বসছে চট্টগ্রামে

২০৪ কোটি টাকায় সাড়ে ৪২ হাজার সোলার সিস্টেম বসছে চট্টগ্রামে


নিউজ ডেস্ক:
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম এবং ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ৫০০ সোলার কমিউনিটি সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করবে ‘বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’। এটি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) আওতাভুক্ত একটি কোম্পানি। এতে ব্যয় হবে ২০৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আজ বুধবার অনুষ্ঠেয় ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুর্গম ও সীমান্তবর্তী অফ-গ্রিড এলাকায় ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ হাজার সেট সোলার হোম সিস্টেম এবং পাড়াকেন্দ্র/ছাত্রাবাস/কমিউনিটি সেন্টারে ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ৫০০ সেট সোলার কমিউনিটি সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন করা হবে।
এ প্রকল্পের বিষয়ে এক কার্যপত্রে বলা হয়েছে, মুজিব বর্ষে ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম ও সীমান্তবর্তী এলাকায় যেসব আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া সম্ভব নয়। তাই সেসব এলাকায় বসবাসকারী সব জনগোষ্ঠীকে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পটি গত বছর ২৪ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে তিন বছর। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির গত ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্গমতা, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সীমান্তবর্তী এলাকা বিবেচনায় এ অঞ্চলে কাজ করার সক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে ‘বাংলাদেশ মেশিন টুল্স ফ্যাক্টরি লিমিটেড’, ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’, ‘বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেড’ ও ‘বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ নামে ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহ ব্যক্তকরণ ও মূল্য সংবলিত প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধপত্র পাঠানো হয়। চারটি প্রতিষ্ঠানই অনুরোধপত্র গ্রহণ করে প্রাপ্তি স্বীকার চিঠি দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুধু ‘বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ আগ্রহ ব্যক্তকরণ ও মূল্য সংবলিত প্রস্তাব দাখিল করে। গত ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে ‘প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি’ তা দর প্রস্তাব বা দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে দাখিল করে।
দাখিলকৃত দরপত্র প্রস্তাব মূল্যায়নের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রথম সভা গত ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রস্তাব দাখিলকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আগ্রহ ব্যক্তকরণ ও মূল্য সংবলিত প্রস্তাব, সম্পাদিত কাজের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনায় রেসপন্সিভ প্রস্তাব হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের দাখিলকৃত অভিজ্ঞতার সনদপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকার সীমান্ত চৌকি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ ছাড়া পঞ্চগড়ে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …