নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত আগামীকাল সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে। জনচলাচলও বন্ধ থাকবে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। যারা আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন বা এসে পড়বেন, তারা যশোর বর্ডার এবং বর্ডার এলাকায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’
আজকেও যারা দেশে ঢুকবেন, তাদেরকেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
আজকে থেকে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক চলাফেরা, যাতায়াত বন্ধ থাকবে।’
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্ব গতি হওয়ায় তাদের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুপুরে এ প্রস্তাব করা হয়। তবে জরুরি পণ্য পরিবহন এর আওতার বাইরে রাখার পরমর্শ দেন তিনি।
ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ভারতের শশান ও কবরস্থানে দেখা গেছে লাশের ভিড়। একেকটি লাশ নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকি হতে যাচ্ছে দুইভাবে। একটা হলো ভারতে যে অসংখ্য সংক্রমণ হচ্ছে সেখান থেকে এ সংক্রমণটা আমাদের দেশে আসতে পারে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। এটা হচ্ছে বড় ঝুঁকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে নিজেদের সমস্যা আছে করোনার, তারওপর ভারত থেকে এসে সমস্যাটা যেন বেশি গভীর না করে। সে ব্যাপারে আমাদের খুব মনযোগ দেয়া উচিত। ভারত থেকে আসলে তাকে দুই ডোজ টিকার সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।
এদিকে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় দেশটিতে টিকার সঙ্কট পড়েছে। ফলে চুক্তিবদ্ধ টিকা পেতে বাংলাদেশের আরও তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম। অবশেষে আজ জানানো হয়েছে যে আগামী মাসে ২০ লাখ টিকা আসবে দেশে।
দেশটিতে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও ভারতের সঙ্গে আপাতত সীমান্ত যোগাযোগ না করার পরামর্শ দিয়েছিল।