- প্যাকেজ বাস্তবায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে
- ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে অব্যাহত থাকবে ঋণ সুবিধা
- ৩৫ লাখ পরিবারকে দেয়া হবে আড়াই হাজার করে টাকা
নিউজ ডেস্ক:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবল থেকে অর্থনীতি সচল রাখতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঢেলে সাজানো হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে রফতানি বৃদ্ধি এবং রেমিটেন্স আহরণে। এ লক্ষ্যে শিল্পকারখানা চালু রেখে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা এবং মনিটরিংয়ের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ গরিব পরিবারকে ২ হাজার পাঁচ শ’ টাকা করে দেয়ার চিন্তা করেছে সরকার। ঈদের আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসাবে এ অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পখাতে চলমান ঋণ সুবিধা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশের অর্থনীতির প্রাণ ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারিমানের শিল্প খাতে গতি সঞ্চার করতে নীতিমালা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে বর্তমান ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার ২৩ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ থেকে অর্থনীতি সচল রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়। মানুষের জীবন বাঁচাতে করোনা সংক্রমণরোধে এখন সারাদেশ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে এ সময়টাতে প্রতিবছর অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার হয়। চাঙ্গা হয় সামগ্রিক অর্থনীতি। কিন্তু গত বছর করোনার কারণে ঈদ বাণিজ্যে ধস নেমে আসে। দেশে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ার কারণে এবারও বেচাকেনায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রণোদনা প্যাকেজের পরিসর বৃদ্ধি করে দ্রুত তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেয় প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়। ওই সময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আর্থিক প্রণোদনা ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।
জানা গেছে, করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও দারিদ্র্য খাত সুরক্ষাসহ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ১৩ দফা সুপারিশ এসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। পাশাপাশি দ্রুত প্যাকেজ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আস্থাহীনতাসহ পাঁচটি বড় বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে। সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- প্যাকেজ বাস্তবায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ও বিলম্বে বাস্তবায়নের কারণ শনাক্ত, রফতানি খাতে নজর ও শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণে তিন দিনের সিরিজ বৈঠক করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং প্যাকেজ দ্রুত বাস্তবায়নে যেসব সুপারিশ করা হয় সেগুলো হচ্ছে- প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের অগ্রগতি স্বাধীন (তৃতীয় পক্ষ দিয়ে) মূল্যায়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে (এসএমই) আরও সহায়তা দেয়া, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে প্যাকেজের সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। এছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণের অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত, এসএমই খাতে প্যাকেজের অর্থ দ্রুত ছাড় ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এসএমই খাতে নিয়ে আসা।
একই সঙ্গে নতুন গরিব হওয়াসহ দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করতে দেশব্যাপী ওএমএস কর্মসূচী চালু. কৃষিতে আগ্রহ বাড়াতে ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা ও প্যাকেজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা। সেখানে আরও বলা হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে এসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দ্রুত ছাড় করতে হবে। প্যাকেজ সংক্রান্ত ওই বৈঠকের বিষয়ে অর্থ সচিব (সিনিয়র) আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সুপারিশের ভিত্তিতে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনায় দু’ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। প্রথম স্বাস্থ্য খাতের ও দ্বিতীয় অর্থনৈতিক ক্ষতি। স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি প্রতিদিন প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাব বের করতে আরও সময় লাগবে। বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, প্যাকেজ বাস্তবায়ন নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর ৪ শতাংশ ফার্ম বা প্রতিষ্ঠান ঋণ সুবিধা নিয়ে পুনরুদ্ধার হয়েছে, ২৯ শতাংশ হতে পারেনি। এজন্য প্যাকেজ বাস্তবায়নে অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে এটি কার্যকর হবে।
প্রণোদনা প্যাকেজ ঢেলে সাজানো হচ্ছে ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রণোদনা প্যাকেজ ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। নতুন প্যাকেজ আরও সুপরিকল্পিতভাবে তৈরির কথা বলা হয়েছে। প্যাকেজে যুক্ত করা হচ্ছে নতুন প্রণোদনা। পাশাপাশি চলমান কয়েকটি প্যাকেজের গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের আওতা বাড়ানো এবং বাস্তবায়ন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নতুন প্রণোদনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। রফতানিমুখী শিল্প ও সেবা খাত, গ্রামীণ অর্থনীতি, ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সুবিধা সম্প্রসারণে নতুন করে সাজানো হচ্ছে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন কৌশল। কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনার শুরুতে যারা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পাননি পরের বছরগুলোতে ঋণসুবিধা নিতে পারবেন সেসব গ্রাহক। এক্ষেত্রে সরকারের সুদ ভর্তুকি সুবিধা কোন গ্রাহক একবারই পাবেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশের অর্থনীতির অভিঘাত মোকাবেলা করাটা কিছুটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নতুন কর্মকৌশল ঠিক করতে ইতোমধ্যে ৩ পর্বের সিরিজ সংলাপ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংলাপের শেষ পর্বের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরও একটি প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২৫) চূড়ান্তকরণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ সামনে রেখে আর্থিক প্রণোদনার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রণোদনার সুবিধা পৌঁছানোর বিষয়ে এবার সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দু’দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের অর্ধেকও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। ফলে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতটি করোনার আঘাত মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে প্যাকেজটি বাস্তবায়নে এনজিওদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাছে সুবিধা পৌঁছানোর জন্য এনজিও ফাউন্ডেশন, এসএমই ফাউন্ডেশন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ খাতে প্রণোদনার যে অর্থ বিতরণ অবশিষ্ট রয়েছে, তা ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি এসব সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। বিতরণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে সকল ব্যাংকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে। সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধনে জোগান দিতে গত এপ্রিল মাসে ঘোষিত এই প্যাকেজের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ, যার ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে। বাকি ৪ শতাংশ সুদ ঋণ গ্রহীতা পরিশোধ করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য বাজেটে পিকেএসএফ, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, তার এক হাজার কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। বাকি এক হাজার কোটি টাকা এ মাসেই ছাড় করে দ্রুত মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদেশফেরত বেকারসহ অন্যদের ছোট ছোট ব্যবসা শুরুর জন্য এই অর্থ ঋণ হিসেবে দেয়া হবে। নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে তিন হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম নেয়া হয়, তাও ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য জেলে, কামার, কুমার, তাঁতি, সবজি, মুদি ব্যবসায়ীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতে ব্যবসা ও উৎপাদনে অর্থায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও এনজিওদের সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়া রফতানিমুখী খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ ঋণ পরিশোধের সময় ও গ্রেস পিরিয়ড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়া করোনার প্রভাব মোকাবেলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) দ্রুত প্রণোদনা ঋণ দিতে এ প্যাকেজটি তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য ঋণ নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত। এ খাতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন।
ঈদের আগে ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হবে ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ গরিব পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। ঈদের আগে মোবাইলের মাধ্যমে সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে এ অর্থ পৌঁছে দেয়া হতে পারে। গত বছরের ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার ও হতদরিদ্র গোষ্ঠীর প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকার নগদ আর্থিক সহায়তা দেন। পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার পরিবারের মধ্যে ৮৭৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। আর বাকি ১০১ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঈদ উপহার দেয়ার পাশাপাশি আরও তিনটি প্রণোদনা প্যাকেজ শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার তালিকা রয়েছে রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষ। পরিবারগুলোকে টাকা দেয়া হবে মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদের মাধ্যমে এই অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে। টাকা পৌঁছানোর জন্য এমএফএসগুলো প্রতি হাজারে পাবে ৬ টাকা। এ টাকা সরকার বহন করবে। অর্থাৎ সুবিধাভোগীদের হাতে ২ হাজার ৫০০ টাকা পৌঁছবে।