নিউজ ডেস্ক:
নতুন উদ্যোগে ঋণ দিতে ৫০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল হচ্ছে। এ তহবিল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণ দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে এ তহবিল গঠন ও নীতিমালা অনুমোদনের প্রস্তাব আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
এ তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে অর্থায়ন নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফা থেকে ১ শতাংশ অর্থ নিয়ে নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল করতে হবে। ২১ বছরের বেশি বয়সী একজন উদ্যোক্তা নতুন ও উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য এ তহবিলের আওতায় ঋণ পাবেন। একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, এ তহবিল থেকে একজন উদ্যোক্তা যে কোনো একটি উদ্যোগে একবারের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না। উদ্যোক্তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কারিগরি অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও গ্রুপ গ্যারান্টিকে জামানত হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। উদ্যোক্তা মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। অন্যদিকে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তা বিদ্যমান নিয়মে খেলাপি হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হবে কম। যেমন- সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হবে ৫ শতাংশ। সাধারণভাবে যেখানে ২০ শতাংশ রাখতে হয়। সন্দেহজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ রাখতে হবে। এ ছাড়া ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে শতভাগের পরিবর্তে ৩০ শতাংশ রাখতে হবে। মূলত ব্যাংকগুলোকে আগ্রহী করতে প্রভিশন কম রাখার বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।
এদিকে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল গঠনে ২০২০ সালের হিসাব থেকে স্টার্টআপ তহবিলে অর্থ স্থানান্তর শুরু করতে হবে। আগামী পাঁচ বছর যা অব্যাহত থাকবে। নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল থেকে বিতরণ করা ঋণেও ৪ শতাংশের বেশি সুদ নেওয়া যাবে না।
উভয় ধরনের নতুন তহবিল থেকে ঋণ পেতে প্রস্তাবিত উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন ও উদ্ভাবনী হতে হবে। এ উদ্যোগ সফল হলে তা কর্মসংস্থান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।