বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪
নীড় পাতা / সাহিত্য ও সংস্কৃতি / গল্পকথা / রুদ্র অয়ন এর ছোটগল্প- একই বৃন্তে

রুদ্র অয়ন এর ছোটগল্প- একই বৃন্তে

একই বৃন্তে
রুদ্র অয়ন

কতক্ষণ ধরে ডাকছি! এই ভাইয়া ওঠ বলছি… 
অথৈ অনবরত ডেকেই চলেছে,
তবু ঘুম থেকে ওঠছেনা আবীর। 
অথৈ’র ডাকে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে আবীরের। অথৈ, আবীরের বয়সের পার্থক্য খুব একটা বেশী নয়। 
ভাই বোন দু’জনের মধ্যে অনবরতই যুদ্ধ আর ভালোবাসা লেগেই থাকে। টম এন্ড জেরীর মতো। 
‘এই ভাইয়া, ওঠ। আম্মু তোকে ডাকছেতো। কিসের এত ঘুম তোর?’ তাড়া দেয় অথৈ। 
‘যা তো তুই, বিরক্ত করিস না। একটু ঘুমাতে দে।’ বিরক্তির স্বরে বলে আবীর। 

‘ওঠ বলছি। না হলে পানি ঢেলে দেবো বলে দিচ্ছি কিন্তু।’
‘তোকে বললাম না? বিরক্ত করবি না। যা এখান থেকে।’

‘তুই ওঠবি না তাহলে?’

‘না। তুই যাবি এখান থেকে!’

‘ওঠবি নাতো? পরে কিন্তু আমাকে দোষ দিতে পারবিনে।’

‘ওঠবোনা এখন, যা বলছি তুই। সাত সকালে মেজাজটাই খারাপ করে দিলো!’

‘এখন সাত সকাল? সাড়ে দশটা বাজে।’

‘বাজুক, তুই যা এখান থেকে; আর একবার ডাক দিলে থাপ্পড় দিয়ে বত্রিশটা দাঁত ফালাইয়া দিবো।’

‘হা হা হা। আমার বত্রিশটা দাঁত নাই। তুই কেমনে ফ্যালাইবি?’

‘তুই যা বলছি এখান থেকে!’

‘তুই না ওঠলে, আমি যাবোনা।’

‘ওঠলে কিন্তু তোর খবর আছে। বলে দিচ্ছি।’

‘আম্মু ডাকতে বলেছে তো!  আম্মুর কি জানি দরকার। ওঠ না ভাইয়া….’

‘আম্মুকে গিয়ে বল এখন ওঠতে পারবোনা। আম্মুর যা দরকার পরে গিয়ে শুনছি। তুই যা বোন এখন, দয়া কর আমায়!’

‘তুই না ওঠলে আমি যাবোনা।’

‘আমি ওঠতে পারবোনা এখন।’

‘ওঠবি না তো? দাঁড়া মজা দেখাচ্ছি…’
বিছানার পাশে টেবিলে রাখা পানির বোতল হাতে নিয়ে মুহূর্তেই আবীরের গায়ে পানি ঢেলে দৌড় দিলো অথৈ।
  আবীরও তার পেছন পেছন তাড়া করতে লাগলো।

‘বজ্জাত কোথাকার, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।’ চেচিয়ে ওঠে আবীর। 

‘কি হলো, এতো চিৎকার কিসের?’ আম্মু এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন। 

‘তোমার শয়তান মেয়ে আমার গায়ে পানি ঢেলে দৌঁড় দিয়েছে।’

‘ও আবার তোকে পানি ঢালতে গেলো কেন?’

‘শয়তান তো। আস্ত বজ্জাত একটা। সারাক্ষন শুধু শয়তানি করে।’

 মুখ ভেঙচি দিয়ে অথৈ বললো, ‘আম্মু, তুমি না ভাইয়াকে ডাকতে বললে? আমি ডাকতে গেলাম। কিন্তু ভাইয়া উলটো আমাকে বকা দেয়। তাই পানি ঢেলেছি।’

 আম্মু আবীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি ওকে ডাকতে বলছি? তুই ঘুম থেকে ওঠিস না তো কি করবে?’

‘সাত সকালে কি দরকার পড়লো তোমার?’ ভ্রু কুচকে বলে আবীর। 

‘সাড়ে দশটার ওপরে বাজে। এখন সাত সকাল?’ আম্মু জবাব  দিলেন। 

‘তাই বলে পানি ঢালবে? বজ্জাত কোথাকার!’

‘ডেকে ডেকে ওঠিস না তাই হয়তো পানি ঢেলে দিয়েছে।’ 

অথৈ বললো, ‘আমি কতবার ডাকলাম, না ওঠে উল্টো আমাকে বকা দিলো! আমার দোষ নাই।’

‘তুই পানি ঢেলেছিস। তোর-ই দোষ।’ রাগে বিড়বিড় করে বলে আবীর। 

‘ভালো করেছি, পানি ঢেলেছি।’ বলে অথৈ। 

‘ভালো করেছিস না? দাঁড়া, দেখাচ্ছি মজা।’

‘আম্মু দেখো? ভাইয়া আমাকে মারবে বলছে।’ আম্মুর পেছনে লুকিয়ে আহ্লাদী স্বরে বলে অথৈ। 

‘থামতো তোরা। এখন আর ঝগড়া করিসনে। আবীর, অথৈ ভুল করে ফেলেছে। সে আর এমন দুষ্টুমি করবেনা। এখন যাও ওয়াশরুম থেকে হাত মুখ ধুয়ে এসো।’ আম্মু আবীরকে বললেন । 

‘আর এমন ভুল করবেনা? তোমার মেয়ে একটা হার-বজ্জাত।’ চাপা রাগত কণ্ঠে বললো আবীর। 

অথৈ বলে, ‘আমি হার বজ্জাত হলে তুমি কি? 
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয় আবীর, ‘বজ্জাতনির ভাই।’

‘আম্মু, দেখেছো, ভাইয়া আমাকে খারাপ বলছে!’ অথৈ আম্মুর কাছে নালিশ জানায়। 

‘আবীর, বলছি না? ওয়াশরুম যাও, ফ্রেশ হয়ে এসো। যাও।’ আম্মু বললেন। 

‘যাচ্ছি আম্মু।’
আবীর চলে গেলো। 

আবীর উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। অথৈ সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। দু’জনেই পড়াশোনায় বেশ ভালো। করোনার কারণে স্কুল কলেজ অনেক দিন বন্ধ রয়েছে। 
নিয়মিত প্রাইভেট, পড়াশোনা করে ওরা ঠিকই তবে কলেজ বন্ধ থাকায় মাঝে মাঝে ঘুম থেকে দেরি করে ওঠে আবীর। আব্বু চাকুরী করেন। ব্যাংকার। আম্মু একটা সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকুরী করেন। তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এখন বন্ধ। আব্বু নাস্তা করে অফিসে চলে গেছেন। আবীর ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তার টেবিলে বসে। চেয়ার টেনে পাশে বসে অথৈ। আম্মু দু’জনকে নাস্তা বেড়ে দেন। ওরা ভাই বোন সকালে একসাথে  বসে নাস্তা করে। কেউ কাউকে ছেড়ে খায়না। নাস্তা বেড়ে দিতে দিতে আম্মু  বললেন, ‘আগামী সপ্তাহে গ্রামের বাড়ি যাবো। জায়গা জমিতো পড়েই আছে, সেখানে কিছু গাছ গাছালি রোপণ করা যায় কি না ভাবছি।’

‘ভালোই হবে আম্মু, আমারতো এখন ক্লাস নেই। হাতাহাতি কাজে সহযোগিতা করতে পারবো। আর মাঝে মাঝে ছুটির সময় গ্রামে গিয়ে দাদুকে কৃষি কাজে কত সহযোগিতা করেছি, কত্ত আনন্দের সাথে। আব্বু আর তোমার উৎসাহে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কৃষি কাজে সহযোগিতা করে বুঝেছি, আরাম আয়েশে থেকে বড় বড় বুলি না ঝেড়ে, সৎ পরিশ্রমে যে নির্মল আনন্দ আছে সে আনন্দের কোনও তুলনা হয়না।’ উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে কথাগুলো বলে আবীর। একটু ক্ষণ থেমে আবার বলে ওঠে, ‘শিক্ষকতা যেমন মহৎ পেশা, কৃষিকাজও এক বিশাল মহান পেশা। অবজ্ঞা করার কোনও সুযোগ নেই।’

আম্মু একটুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, ‘হুম। তা ঠিক বলেছিস বাবা। তবে আমারতো মনে হয় শিক্ষকতার চেয়েও মহান পেশা কৃষিকাজ। শিক্ষকতাও এক মহান পেশা। শিক্ষকতার মহান পেশায় যেমন সৎ শিক্ষক নিজের আরাম আয়েশের কথা না ভেবে আলো ছড়ান, আবার আজকাল পেপার পত্রিকায় প্রায় চোখে পড়ে শিক্ষকতার আড়ালে কেউ কেউ নিজ ধান্দা, ব্যবসায় নিমজ্জিত! এমনকি কুচরিত্রার্থও হাসিল করতে তৎপর! ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচরণ করতেও তাদের বাঁধেনা! যারা নষ্ট মানসিকতার তাদের থেকে সমাজ কি পাবে? শিক্ষকতার মহান পেশাকে যারা কলঙ্কিত করতে চায় তাদের কঠোরতর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। যাতে করে কেউ অনৈতিক বা অপকর্ম করার সাহস না পায়। নষ্ট মানসিকতার কুলাঙ্গারদের শিক্ষকতার পেশায় নিয়োগ দেয়াটাই উচিত নয়।’ কিছুক্ষণ চুপ থেকে আম্মু আবার বললেন, ‘সে যাকগে। আমি আমার ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষায় ও ভালো মানুষরুপে গড়ে তুলতে চাই, সবার আগে। ধর্ম, জাত পাত, ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হওয়ার আগে; সর্ব প্রথম মানুষ হও। ভালো মানুষ। এটাই আমার চাওয়া তোমাদের থেকে।’
 অথৈ ও আবীর সমস্বরে বলে ওঠলো, ‘আমরা তোমাদের নিরাশ করবোনা আম্মু, এব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারো।’

  আবীর আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘আচ্ছা আম্মু, উত্তরাধিকার সূত্রে ছেলে সন্তানদের থেকে মেয়ে সন্তান কম সম্পত্তি পেয়ে থাকে। কিন্তু আমারতো মনে হয় সমানভাবে বন্টন করা উচিত। একজন ছেলে সন্তানকে যেভাবে সুশিক্ষা ও যোগ্য মর্যাদার সাথে মানুষ করা হয় একটা মেয়ে সন্তানেরও সমান অধিকার। আমাদের অভাগা দেশে অধিকাংশই দেখি, ছেলে সন্তানদের সব সম্পত্তি ভাগ করে দেয়া হয় আর পিতামাতার সহায় সম্পত্তি থেকে  বঞ্চিত রেখে মেয়ে সন্তাদের শুধু দোয়া করে দেয়া হয়! কেন তারা কি পিতামাতার সন্তান নয়? অথচ সমাজ সংসারে বহু দেখা যায়, পিতামাতার অসহায়, বৃদ্ধ-শেষ অবস্থায় মেয়ে সন্তানেরাই নিঃস্বার্থ দেখভাল করে থাকে। হুম, ইসলামে মেয়ে সন্তানদের বঞ্চিত না করে ছেলে সন্তানের তুলনায় কিছু কম ভাগ বন্টনের কথা রয়েছে। এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইনে । তবে ছেলেদের সম পরিমাণ ভাগ যদি মেয়েদের দেয়া হয় তাতে তো কোনও নিষেধ নেই। আমি চাইবো যদি কখনও আমাদের সম্পত্তি ভাগ করে দেয়া হয় তবে আমাদের ভাই বোনকে সমানভাগে ভাগ করে দেয়া হয় যেনো।’
 ‘তোর বোনের প্রতি এমনটাই মন মানষিকতা তোর থেকে আশা করেছি বাবা।’ সহাস্য মুখে বললেন আম্মু। 

অথৈ বলে, ‘আমার ওসব কিছু লাগবেনা আম্মু।’

‘তুই চুপ থাক।’ অথৈ কে উদ্দেশ্য করে বলে আবীর।

 নাস্তা খাওয়া শেষ হলে যে যার ঘরে চলে যায়।
  ঘরে এসে আবীর বিড়বিড় করে বলে টেবিলের ওপর আমার একশোটা টাকা ছিলো। খুঁজে পাচ্ছিনা। বোনকে ডাক দেয়, ‘অথৈ… এই অথৈ।’

‘কি জন্য ডাকছিস?’ জিজ্ঞেস করে অথৈ। 
‘টেবিলের, ওপর আমার একশো টা টাকা ছিলো। তুই নিয়েছিস?’

‘হুম। তুই যখন ওয়াশরুমে গিয়েছিলিস তখন একটা ফকির এসেছিলো তাকে দিয়েছি।’

‘কি? আমি জানিনা ওসব। আমার টাকা কোথায় বের কর?’

‘ফকিরকে দিয়েছি তো।’
‘একশো টাকা ফকিরকে?’

‘একশো টাকা ই ছিলো। আরো বেশী থাকলে আরো দিতাম।’

‘তুই তোর কাছ থেকে দিলিনা কেন? আমার থেকে কেন নিয়েছিস?’

‘তোর নাম করে দিয়েছি তো।  বলেছি আমার ভাইয়া দিয়েছে, তোর জন্যে দোয়া করবে।’

‘রাখ তোর দোয়া! তোকে দিতে বলেছে কে? তাও আবার পুরো একশো টাকা!’

‘ফকিরটাই তো দিতে বললো।’

‘ফকিরটা বললো আর তুইও দিয়ে দিলি?’

‘তোর জন্যে দোয়া করবে বলেছে। এতো রাগ করিস কেন ভাইয়া?’

  রাগারাগি করেও কিছু হবে না জেনে আবীর ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
  বিকেলে আবীর একটু বাইরে বেরিয়েছে। অথৈ তাকে ফোন দিলো। ফোন রিসিভ করতেই অথৈ বলে, ‘ভাইয়া, কোথায় তুই?’

‘কেন ফোন দিয়েছিস?’

‘কেন, আমি ফোন দিতে পারিনা তোকে?’

‘ঢং দেখাসনা। কি দরকার বল?

‘সরি, ভাইয়া।’

‘সরি কেন?’

‘সকালে গায়ে পানি আর পরে টাকার নেয়ার জন্যে।’

‘হুম, ন্যাকামি দেখাস?’

‘সত্যি ভাইয়া, সরি।’

‘আচ্ছা, আচ্ছা। মাফ করে দিয়েছি।’

‘থ্যাংক ইউ ভাইয়া। ভাইয়া শোন…’

‘শুনছি, বল?’

‘ভাইয়া, আসার সময় ফুচকা নিয়ে আসিস, প্লিজ।’

‘হুম। এখন বুঝলাম, কেন এতো ঢং দেখিয়ে সরি বললি।’

‘ভাইয়া প্লিজ, খেতে ইচ্ছা করছে।’

‘পারবোনা…’

ফোন কল কেটে দিলো আবীর। অথৈ ভালো করেই জানে, তার ভাই তার জন্য ফুচকা নিয়ে আসবে। রাগ যতই দেখাক না কেন।

আবীরের কাছে সত্যিই টাকা ছিলোনা। এক বন্ধুর কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা ধার করে সে বোনের জন্যে ফুচকা নিয়ে আসে। বোনের হাসির জন্য সে সব কিছু করতে পারে।

‘ভাইয়া, এনেছিস?

‘হুম। এই নে।’ ফুচকার প্যাকেটটা বোনের হাতে দেয় আবীর। 

‘আমি জানতাম তুই না এনে পারবিনে। তুই আমার লক্ষী ভাইয়া।’ আহ্লাদী কণ্ঠে বলে অথৈ। 

‘থাক, আর ন্যাকমী করতে হবেনা।’

‘এসব ন্যাকমী না। এগুলা হলো মায়া।’

‘তোর মায়া তোর কাছে রাখ।’

আবীরের এসব মায়া ভালো লাগে। তবু ইচ্ছে করে সে অথৈ কে রাগায়। রাগলে ওকে অনেক সুন্দর লাগে।
বোনের রাগ ভরা লাল মুখখানা দেখতে তার বেশ লাগে। 

আবীর এক ঝলক বোনের লাল মুখ খানা দেখে রুমের দিকে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পরে তার রুমে এলো অথৈ। 

‘এই নে।’ বলে দু’শোটা টাকা বাড়িয়ে দিলো অথৈ। 

‘কিসের টাকা?’ আবীর জানতে চাইলো। 

‘তোর টাকা।’

‘এইগুলা কোথায় পেলি?’

‘টেবিলে যে ছিলো।’

‘ছিলোতো একশো টাকা। তুই না ফকিরকে দিয়েছিলিস?’

‘দশ টাকা দিয়েছি।’

‘তাহলে তো নব্বই টাকা থাকার কথা। দুইশো টাকা আসলো কোথা থেকে?’

‘ফুচকার টাকা।’

‘থাক লাগবে না।’

‘ভাইয়া, আমি জানি তোর কাছে টাকা নাই। এগুলা রাখ। আব্বু আমাকে বাড়তি টাকা দেয়। কিন্তু এগুলো তো আমার লাগেনা।’

‘আব্বু তোকে দিয়েছে। তুই রাখ। আমার লাগবেনা।’

‘আমি টাকা দিয়ে কি করবো। তুই রেখে দে ভাইয়া।’

‘আমারও লাগবেনা। তুই যা এখান থেকে।’

‘নিবি না তো? আমি কেঁদে দিবো।’

‘আবার ন্যাকামি? আচ্ছা দে। কালকে হালিম আর তন্দুরি এনে দিবো।’

‘কালকে আনতে হবেনা ভাইয়া।’

‘তুই বললেই হলো না কি? আমার বোনের জন্য আমি আনবো।’

‘তোর বোনতো আমিই। আমি বলছি, কাল কিছু লাগবেনা।’

‘তুই চুপ থাক।’ বলেই বোনকে জরিয়ে ধরলো আবীর। বড্ড ভালোবাসে বোনকে।
অথৈও তার ভাইকে অনেক ভালোবাসে। তার কাছে তার জগৎটাই তার ভাই। লুকিয়ে লুকিয়ে ভাইয়ের মানিব্যাগে টাকা রাখে সে। এটা আবীর বুঝতে পারে। সেও লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক কিছু বোনের ব্যাগে রেখে দেয়। অথৈও বুঝতে পারে এটা তার ভাই দিয়েছে। 
  ওরা যেন একই বৃন্তে দু’টি ফুল। দু’জনের প্রতি দু’জনের রয়েছে অকৃত্রিম মায়া, ভালোবাসা। কিছু সময় ভাব আর কিছুটা সময় কাটে তাদের মধুর খুনসুটি করে। 
 এইতো ভালোবাসা। ভাই বোনের অকৃত্রিম, নিখাঁদ ভালোবাসা পৃথিবীর সব চেয়ে পবিত্র, সুন্দর ভালোবাসা।
ওদের নিখাঁদ ভালোবাসা দেখে অনুপ্রাণিত হোক শিথিল হয়ে যাওয়া ভাই বোনের সম্পর্কগুলো। আত্মার সম্পর্কগুলো মনের মাঝে নিবিড় হয়ে জড়িয়ে থাকুক দুঃখ সুখে। 

আরও দেখুন

নাটোরের সকল এমপিদের গ্রেপ্তারের দাবি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,, সাম্য ও মানবিক দেশ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক …