নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
নানা জটিলতা ও জলনা-কল্পনা শেষে চলতি বছরের ২ই জানুয়ারীতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। তবে প্রথমে দুই একটি ট্রাক আমদানি করে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় মোটা অংকের লোকসান। লোকসান গুনায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এসব কারনে অনুমতি থাকলেও পেঁয়াজ আমদানি করছে না হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। অন্যদিকে স্থানীয় খুচরা বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছে দেশী পেঁয়াজের, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে।
সরেজমিনে গিয়ে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ নেই, তবে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।
পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক বাবু জানান, ভারতের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের দাম বেশি ও সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ করায় পেঁয়াজ আমদানি করে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে আসলে আমদানি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে না। আশা করছি এই মাসের শেষের দিকে সেদেশে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে তখন আবারো আমদানি শুরু হবে।
আরেক আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, আমদানি অনুমতি পাবার থেকে প্রথমবার আমি এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছি। পেঁয়াজ আমদানি করে প্রতি ট্রাকে আমাকে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়েছে। কারন দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের থেকে দেশীয় পেঁয়াজের মান ভালো ও দাম কম থাকায় ভোক্তারা সেই পেঁয়াজের চাহিদা বেশি দেখায়। তাই আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা না থাকায় আমদানি করে প্রতি ট্রাকে লোকসান গুনতে হয়। আমার মত অন্য আমদানিকারকাও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। বাজার স্বাভাবিক হলে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।