নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেছেন বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব প্রতিরোধে এবং জীব বৈচিত্র সংরক্ষণে ব্যাপক ভুমিকা রেখে চলেছে। কারণ সরকার বিশ্বাস করে প্রকৃতি এবং জীব বৈচিত্র যথাযথ সংরক্ষণ করতে না পারলে দেশ ও দেশের মানুষকে নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়তে হবে। কাজেই জীব বৈচিত্র সংরক্ষনে দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নওগাঁ’র মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ বিষয়ক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পরিবেশ সম্পর্কিত সংগঠন বাংলাদেশ বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন ফেডারেশন ” বিবিসিএফ” যৌথভাবে এই আলোচনাসভার আয়োজন করে। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনাসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, সামাজিক বন অঞ্চল বগুড়ার বন সংরক্ষক ছানা উল্যা পাটোয়ারী, সামাজিক বন অঞ্চল যশোরের বন সংরক্ষক ও বিবিসিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা রেজাউল করিম, মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবিব, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহী আহম্মদ নিয়ামুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন রাজশাহী জিল্লুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও বিবিসিএফ-এর উপদেষ্টা ড. বিধান চন্দ্র দাস, বিবিসিএফ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. এস এম ইকবাল হোসেন, বিবিসিএফ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, নিরাপদ নওগাঁ’র চেয়ারম্যান ও বিবিসিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারনণ সম্পাদক তরু কুমার দেব বক্তব্য রাখেন। উপ-মন্ত্রী বলেছেন, যে কেউ ভালো কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরকার তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। কারন সকলের সম্পৃক্ততা না থাকলে কোন ভালো কাজের সফলতা আনা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেছেন যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশের ভু-খন্ডকে রক্ষা করতে আমাদের সুন্দরবন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। কাজেই আমাদের সকলের দায়িত্ব সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখা। তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ব্যপক সফলতা অর্জিত হয়েছে। একইভাবে প্রকৃতি, জীববৈচিত্র এবং জলবায়ুর ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ঠ মেধা, প্রজ্ঞা এবং মননশীলতা রযেছে। তাঁর কারনেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অদম্য ইচ্ছা ও প্রত্যাশাকে শতভাগ বাস্তবে রুপ দেয়ার ক্ষেত্রে দেশের সকল মানুষকে সহযোগিতা দিতে হবে। তিনি প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় অবাধে বৃক্ষ নিধন না করতে পরামর্শ প্রদান করেন। কারন বৃক্ষরাজি না থাকলে পাখিদের আবাসস্থল থাকবেনা। এ ক্ষেত্রে তিনি পাখিদের আবাস এবং খাদ্য নিশ্চিত করতে পাখি বসবাসের উপযোগি বৃক্ষ রোপনের আহবান জানান।
উপ-মন্ত্রী এর আগে মহাদেবপুর উপজেলা সদরে আত্রাই নদীতে ব্রীজ থেকে মধুবন পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে প্রাকৃতিকভাবে অবস্থান নেয়া পাখির অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেন।