নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, অনেকে হয়তো ঠিক মতো অনলাইনে টিকা নেয়ার আবেদন করতে পারছেন না।
তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা দিতে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যান, তারা এদের করোনা টিকার নিবন্ধন করতে সহায়তা করবেন। তিনি জানান, এর বাইরে গ্রাম বা ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্রে যারা কাজ করেন, তারাও টিকার নিবন্ধনে সহায়তা করবেন।
বাংলাদেশে গত ২৭শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৭টি ক্যাটেগরির পেশার মানুষের বাইরে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিরা টিকা নিতে পারবেন। এ জন্য https://www.surokkha.gov.bd/ নামের ওয়েবসাইটে টিকা নিতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং একটি মোবাইল নম্বর লাগবে।
তিনি জানান, প্রথম দিকে নিবন্ধনের হার কিছুটা কম থাকলেও গত কয়েকদিনে তা বেড়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ৮০ হাজার নিবন্ধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা। টিকার নিবন্ধন হওয়ার হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। এই কারণে হয়তো অনেকে মনে করতে পারেন যে, তার আর করোনা হবে না। এই জন্যে টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তবে সবাইকে টিকা নেয়ার জন্য আমরা উৎসাহিত করছি।
গত ২১ জানুয়ারি ভারত থেকে শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ২৫শে জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ টিকাও বাংলাদেশে এসেছে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড নামের টিকাটি ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করছে। সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।