সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / উন্নয়ন বার্তা / স্বপ্ন ছুঁয়েছে মেগা প্রকল্প

স্বপ্ন ছুঁয়েছে মেগা প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক:
এরইমধ্যে এপার-ওপারের বন্ধন তৈরি করেছে পদ্মা সেতু। চলছে শেষ সময়ের কার্যক্রম। সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালের জুনে খুলে দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য।

একইভাবে চলমান করোনা মহামারির বাঁধ ভেঙে ছুটে চলছে ফাস্টট্র্যাকভুক্ত (সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার) ৯টি মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম।

দুই লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার এসব প্রকল্পে (এলএনজি টার্মিনাল ছাড়া) এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।

আর ডিসেম্বর পর্যন্ত নয় প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতিতে প্রায় দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।

তাই প্রকল্পগুলোকে ট্রান্সফরমেশনাল (রূপান্তরমূলক) প্রকল্প বলেও আখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ২০২৫ সালের মধ্যেই এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে একে একে স্বপ্ন ছুঁবে বাংলাদেশ-এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে : পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প।

এ ছাড়া দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এবং মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম যুগান্তরকে বলেন, স্বপ্নময় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে অবকাঠামো ও পরিবহণ সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অর্থনীতি সুসংহত হবে। পণ্য ও জনচলাচলকে অনেক বেশি সহজ করে তুলবে। টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করবে। ফলে ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।

বিশেষত সেবা খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সব মিলিয়ে উচ্চতর প্রবৃদ্ধিতে যাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা, তা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু পদ্মা সেতু হলে এক থেকে দেড় শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

আর সব মেগা প্রকল্প মিলিয়ে দেশের জিডিপিতে প্রায় দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। আর এ কারণে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার যে লক্ষ্য-২০২৫ সালের মধ্যে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন-তা পূরণ সহজ হবে।

তবে প্রকল্পগুলো শেষ করাই যথেষ্ট নয়, ফলাফল পেতে বাস্তবায়ন-পরবর্তী সঠিক ব্যবস্থাপনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো অনেকদূর এগিয়েছে। বলতে গেলে স্বপ্ন ছোঁয়ার কাছাকাছি গেছে বাংলাদেশ। তবে এসব প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।

প্রকল্পগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে হলে আরও কিছু কাজ করা দরকার। যেমন, যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত বাধা দূর করার পাশাপাশি যে বিনিয়োগ সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে, তা কাজে লাগাতে আরও কিছু ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার আনতে হবে।

যেমন ধরেন, পদ্মা সেতু প্রায় শেষ; কিন্তু এখনো রাস্তা ও সেতুর টোল নির্ধারণ হয়নি। আবার যদি যথার্থ টোল নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে একটা জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে।

মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে নির্মাণ-পরবর্তী সঠিক ব্যবস্থাপনা, সিগন্যালিং ও টিকিটিং যদি না-হয়, তাহলে সুফল মিলবে না।

আবার রেলের বগির ভেতরের বাতি চুরি হওয়ার মতো ছোট ছোট দুর্নীতিসহ বড় দুর্নীতি-সবই বন্ধ করতে হবে। এরকম উদাহরণ সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অবস্থা-পদ্মা বহুমুখী সেতু : সম্প্রতি ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে প্রমত্তা পদ্মার এপার-ওপারের মধ্যে বন্ধন গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু।

৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যানটি বসিয়ে শুরু হয় দৃশ্যমান কাজ। এরপর তিন বছরে বসানো হয়েছে ৪১টি স্প্যান। ফলে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হয়েছে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

চার লেনের সেতুর প্রস্থ ৭২ ফুট। এটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

এখন আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তবে মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া নদীশাসন ৭৬ শতাংশ এবং সার্ভিস এরিয়া-২ ও দুই প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজসহ অন্যান্য কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব করলে দেখা যাবে, সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ এবং মূল সেতুর কাজ ৯১ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে।

এখন ফিনিশিং কাজ চলছে। আপাতত কোনো জটিলতা নেই। আশা করছি, ২০২২ সালের জুনে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।

মেট্রোরেল : রাজধানীবাসীর যানজট মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। ২০১২ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে।

নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সার্বিক অগ্রগতি ৫২ দশমিক ২৪ শতাংশ। পর্যায়ভিত্তিক অগ্রগতি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম পর্যায় ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায় ৪৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায় ৪১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরায় ডিপো এলাকার সব ধরনের রেললাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে কর্মরত একাধিক ইঞ্জিনিয়ার জানান, ডিপো এলাকায় পাথরসহ এবং পাথর ছাড়া দুই রকম লাইন বসানো হচ্ছে।

১৯ কিলোমিটার এ রেললাইনের কাজ মার্চে পুরোপুরি শেষ হবে। এ ছাড়া রেল চালানোর জন্য ডিপো এলাকায় ১৩২ কেভি রিসিভিং বিদ্যুৎ গ্রিড সাব-স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। ডেসকো পর্যন্ত লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম (উপরে তার ঝুলে থাকার জন্য) মেট্রোরেল টেস্ট এরিয়া পর্যন্ত স্থাপন শেষ হয়েছে।

ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন স্থাপনের কাজ উত্তরা ডিপো এলাকা থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিদিন ১০০ মিটার করে রেললাইন বসানোর কাজ এগিয়ে চলছে।

তিনটি স্টেশনে বিদ্যুতের ইকুইপমেন্ট পৌঁছে গেছে। আগারগাঁও পর্যন্ত স্টেশনগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পোর্টাল মাস্ট (তার ঝোলানোর বিশেষ পোল) স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।

রাত-দিন মিলিয়ে এ প্রকল্পে প্রায় ২৫০-৩০০ শ্রমিক কাজ করছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখার সময় একজন উপ-প্রকল্প পরিচালক বলেন, যে গতিতে কাজ চলছে, আমরা সন্তুষ্ট। করোনার সময় যেসব বিদেশি শ্রমিক চলে গিয়েছিলেন তারা সবাই ফিরে এসেছেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩৪ হাজার ২১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

সার্বিক ও আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিদিন পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন।

এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক বিদেশি। প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাকটর বিল্ডিংয়ের ভেতরের দিকের বিশেষ দেওয়ালের কাজ চলছে। এটি শেষ হলেই প্রেসার ভেসল স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাকটর বিল্ডিংয়ের কাজও চলমান। এ ছাড়া মাটিকে বিশেষভাবে সক্ষম করে তোলার কাজও করা হচ্ছে। যেভাবে কার্যক্রম এগিয়ে চলছে এতে আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

তবে সাপোর্ট প্রকল্পগুলোর কাজ যদি একইসঙ্গে শেষ করা যায়, তাহলে এটির সুফল নির্ধারিত সময়েই মিলবে।

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা।

ভৌত অগ্রগতি ৩৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে আর তেমন কোনো জটিলতা নেই।

প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক : দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের জুলাই থেকে।

আর শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে পাঁচ হাজার ১৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পের ভৌত নির্মাণ কাজ, পরামর্শক সেবা-সুপারভিশন, পরামর্শক সেবা-প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, রিসেটেলেমেন্ট কার্যক্রমসহ অন্যান্য কাজ এগিয়ে চলছে।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর : ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি। নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা।

আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৭৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ফাস্টট্র্যাক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পের আওতায় বেশকিছু কাজ ব্যাহত হয়েছে।

এগুলো হলো : ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসন কাজের ১৪টি প্যাকেজের কাজ, নির্মিতব্য বিভিন্ন জলযানগুলোর বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট ও জাহাজের ট্রায়াল ডেলিভারি, প্রশিক্ষণ এবং বন্দরের ডিটেইল মাস্টার প্ল্যান কার্যক্রম।

তবে এখন এসব কাজ আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র : মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা। নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৪৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪১ দশমিক ০১ শতাংশ। এ ছাড়া প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় দুটি প্যাকেজের মধ্যে প্যাকেজ ১.১-এর প্রিপারেটরি ওয়ার্ক ফর পাওয়ার প্ল্যান্ট ও পোর্ট ফ্যাসিলিটিজের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

প্যাকেজ ১.২-এর পাওয়ার প্ল্যান্ট ও পোর্ট ফ্যাসিলিটিজের কাজ ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ, পোর্ট-প্ল্যান্ট প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও পরামর্শক সেবা ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ, পল্লী বিদ্যুতায়ন শতভাগ, টাউনশিপের ভূমি উন্নয়ন ৩৩ শতাংশ, পূর্ত কাজ (আবসিক) ৩ শতাংশ, পূর্ত কাজ (অনাবাসিক) ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প : ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাই থেকে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৪৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়ন, বাউন্ডারি ওয়াল স্লোপ এবং অফিস-কাম আবাসিক ভবনের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

ইপিসি টার্নকি কাজ ৫৪ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।

এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ : প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন অংশের প্রারম্ভিক কার‌্যাবলি ও মালামাল সংগ্রহের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হুকুম দখলের কাজ গড়ে ৯৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হয়েছে। আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …