“ছায়া_অনুরা”
আমার শীতার্ত সন্ধ্যার বিবর্ণ আলোয় তোমাকে চাইতে গিয়ে,
কুয়াশার বুকে হাত পেতে তোমাকেই খুঁজি।
তোমাকে না পাওয়ার নিদারুণ অনুতাপে,
আমার হাতের আঙ্গুলগুলো কুঁকড়ে থাকে;
কুঁকড়ে থাকে ধোপার হাতের বুড়ো আঙ্গুলের মতো।
তথাপি; আমার বরফ শীতল হাতের তালুতে,
তুমি নামের উষ্ণতা জমা করতে গিয়ে;
ঘষে ঘষে তোমার নামের বানান সাজাই রোজ।
এখনও আমার বুকের ওমে,
তোমার তরেই তাজমহল বুনি;
তাজমহল বুনি তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার উইল সমেত।
আমার চোখের কোলে এই ভরা মাঘেও,
নোনা বৃষ্টির উত্তপ্ত নহর।
ঝিঁঝি পোকার আর্তনাদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে,
তুমিময় কবিতার কলকাকলি।
আমার দীর্ঘশ্বাসের রাত ভোর হতে হতে,
তোমার নামেই কুয়াশার আদর আলো ফুটে উঠে;
আলো ফুটে উঠে আমার কল্পলোকের ক্যানভাসে।
তথাপি; আমার পদযুগলের ঠোঁট ফাটা চিৎকারে,
চুইয়ে চুইয়ে রক্তক্ষরণ হয় আমার বিবাগী হৃদপিণ্ডের;
রক্তক্ষরণ হয় শিউলি বোটার জাফরানি প্রতিহিংসায়।
আমার ওষ্ঠ যুগল বৃষ্টি উপোসি তৃষ্ণায় ধুঁকে ধুঁকে,
তুমি নামক তরতাজা ভালোবাসার উষ্ণতায় ;
মশ্চারাইজার খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে ঢলে পড়ে;
তুমি নামক মুঠোফোনের নাম্বারে।
আমি এভাবেই তোমাকে নিয়মিত চাইতে গিয়ে,
বিক্ষিপ্ত বোধের অনিবার্য প্রতিক্রিয়ায় ;
অনিশ্চিত অনিয়মের অভিযোগে বন্দি হয়ে পড়ে থাকি।
বন্দি হয়ে পড়ে থাকি হারিয়ে ফেলা তোমারই ছায়া অনুরাগে।
লেখিকা: নাজনীন নাহার