নিউজ ডেস্ক: সাড়ে পাঁচ বছর আগে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর বিচার শুরু হলো।
এতো সংখ্যক নেতাকর্মীর বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আতঙ্কে পড়েছে বিএনপি। বলা হচ্ছে, বিচারের আসামিদের সাজা হলে নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে বিএনপি।
মামলার আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। বাকিরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী।
সূত্র বলছে, রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীমের আদালতে শুনানি শেষে এই অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আতঙ্কের বিষয়টি উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, নিঃসন্দেহে বিষয়টি দলের জন্য খুবই দুশ্চিন্তার। মামলাটি যেহেতু সাধারণ মামলা নয়, তাই দুশ্চিন্তার মাত্রাটাও একটু বেশি। পুলিশের উপরে হামলা বলেই তা খুব খারাপ দিকে যাবে। আমাদের আইনজীবীরা সাধ্যমতো মামলা মুক্তির চেষ্টা করবে। জানি না কোনো ফল পাওয়া যাবে কিনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে (২০১৫ সাল) চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি-সংলগ্ন নসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল ২০-দলীয় জোট। ওই দিন সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় নেতা-কর্মীদের। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এখনো কারাগারে।