নিজস্ব প্রতিবেদক:
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় পরিচালিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে এখন আরও বেশি করে ঋণ নিতে পারবে কুটির, অতিক্ষু্দ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তারা।
কুটির, অতিক্ষু্দ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারা এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ তিন কোটি টাকা এবং মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে।
এতদিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প-২ (এসএমইডিপি-২) শীর্ষক এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে কুটির, অতিক্ষু্দ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারা এক কোটি টাকা এবং মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা তিন কোটি টাকা ঋণ নিতে পারতেন।
ওই সীমা বাড়িয়ে নতুন করে নির্দেশনা জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট প্রদত্ত ঋণের ৩০ শতাংশের বদলে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত এক বছর মেয়াদে পুনঃঅর্থায়ন করা যাবে। বছরে দুটি সমান কিস্তিতে ঋণ আদায় করা যাবে।
করোনা মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সম্প্রতি এই তহবিলের ঋণের সুদের হার কমিয়ে ছয় শতাংশে নামিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সিএমএসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেকেন্ড স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম সাইজড এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসএমইডিপি-২) শীর্ষক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সরকার এবং এডিবি।
২০১৭ সালের নভেম্বরে এডিবির সহায়তায় ২৪ কোটি ডলার সমমূল্যের এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সুবিধাবঞ্চিত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। তহবিলের ঋণ বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে।